প্রণবদার মৃত্যুতে দেশ হারালাে এক সুসন্তানকে


পূর্বতন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখােপাধ্যায় ছিলেন মহীরুহ সম ব্যক্তিত্বসম্পন্ন রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি মাতৃভূমির প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণ উৎসর্গ করেছিলেন। ভারতবর্ষের প্রাচীন ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতি তার গভীর জ্ঞান ও শ্রদ্ধা ছিল। স্মৃতিশক্তি ছিল প্রখর। এত গুণ থাকা সত্ত্বেও তিনি তিনি ছিলেন সহজ সরল, অনাড়ম্বর ও ভালাবাসায় পরিপূর্ণ একজন মানুষ।
তৃতীয় বর্ষ সঙ্ শিক্ষা বর্গের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রণবদাকে নাগপুরে নিয়ে যাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। আমি কলকাতা থেকে এসেছি শুনে বললেন, ‘বাঙ্গলার হিন্দুরা ভালাে নেই। তাদের বাঁচাতে হবে।সঙ্ প্রতিষ্ঠাতা পরম পুজ্য ডাঃ হেডগেওয়ারের বাড়িতে গয়ে। খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। ভিজিটর বুকে লিখেছেন, “ভারতের এক পরম দেশপ্রেমিক সন্তানের
প্রতি আমি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। অনুষ্ঠানের শেষে অভ্যাগতদের সঙ্গে পরিচয় পর্বের সময় প্রণবদা নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছিলেন, “আমি ভারতের প্রাক্তন রাষ্টপতি, কিন্তু আপনাদের প্রণবদা। এমনই সরল মনের মানুষ ছিলেন তিনি। তিনি এতটাই প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। যে, প্রত্যেকেই তাকে নিজের পরিবারের প্রধান হিসেবে ভাবতেন।
প্রণবদার চরণে আমার শত শত প্রণাম। তিনি পশ্চিমবঙ্গের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে সর্বদাই চিন্তিত থাকতেন। গ্রামের বাড়ির দুর্গাপূজা নিয়ে কথা বলতে ভালােবাসতেন। তার শরীর আজ হয়তাে আমাদের মধ্যে নেই কিন্তু তার কর্মময় জীবন চিরকাল আমাদের দেশের জন্য কাজ করতে প্রেরণা জোগাবে।
ভি ভাগাইয়া
(লেখক রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সহ সরকাৰ্যবাহ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.