মস্কোতে দু’দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মধ্যে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলার পরেও মেলেনি রফাসূত্র। বরং তারপর থেকে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। বেড়েছে এক অপরকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার ঘটনাও। পরিস্থিতি দেখে ভারত ও চিনের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ২ দিন ধরে তার প্রমাণ মিলছে লাদাখ সীমান্তেও। একদিকে যখন সীমান্তের ওপারে থাকা মলডোয় চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়ছে। অন্যদিকে তখন লালফৌজের উপর নজরদারি চালানোর জন্য লাদাখ সীমান্তে বাড়ানো হচ্ছে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের সংখ্যা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, লালফৌজ মলডোয় ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রে এই খবর পাওয়ার পরেই লেহ সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই বায়ুসেনা (IAF) -এর বিমানগুলিকে কয়েক ঘণ্টা অন্তর লাদাখের দিকে উড়তে দেখা যাচ্ছে। সীমান্তে চিনের সেনার বিরুদ্ধে যাঁরা কর্তব্যরত রয়েছেন তাঁদের কাছে বিভিন্ন জিনিস সরবরাহ করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে জওয়ানদের লাদাখে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলেও খবর।
আরও জানা গিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় থাকা প্যাংগং সো (Pangong Tso) এলাকার উত্তর ও দক্ষিণ অংশে প্রচুর সংখ্যক ভারতীয় সেনা জওয়ানকে মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁরা ওই দুই প্রান্তের বিভিন্ন জায়গা থেকে মলডোয় বাড়তে থাকা লালফৌজের ক্যাম্পগুলির উপর লক্ষ্য রাখছেন। বারবার নজরদারি চালানো হচ্ছে আকাশপথেও।