কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর বিশেষ মেট্রো চালাবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ৷ সেদিন মেট্রোতে শুধু NEET পরীক্ষার্থীরাই উঠেছে পারবেন৷ অন্য কোনও যাত্রীদের মেট্রোতে উঠতে দেওয়া হবে না৷ এমনটাই সূত্রের খবর৷
আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা NEET-এর পরীক্ষা৷ পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে রাজ্যের তরফে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে ওই দিন পরিষেবা চালুর আবেদন করা হয়েছিল৷
এরপরই কলকাতা মেট্রো জানিয়েছে, ১৩ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার দিন সকাল ১১টা থেকে মেট্রো চালু করা হবে৷ বিশেষ এই মেট্রো চলবে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত৷ ওই দিন পরীক্ষার্থীদের জন্য মোট ৬৬ টা মেট্রো চালানো হবে৷
অ্যাডমিট কার্ড দেখিয়ে পরীক্ষার্থীরা মেট্রোতে উঠতে পারবেন৷ এদিন কিছু টিকিট কাউন্টার খোলা হবে৷ যাদের স্মার্ট কার্ড আছে তারা তা দিয়ে চড়তে পারবে৷ যাদের স্মার্ট কার্ড নেই তাদের জন্য কাগজের টিকিট দেওয়া হবে৷
অন্যদিকে শুক্রবারের রাজ্য সরকার ও মেট্রো কর্তৃপক্ষের বৈঠকের পর জানা গিয়েছে,আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর সাধারণ যাত্রীদের জন্য কলকাতায় ফের মেট্রো পরিষেবা চালু হতে পারে৷ তবে এখনই চালু হচ্ছে না ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো৷
এদিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে,সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে মেট্রো রেল৷ রবিবার মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকতে পারে৷ সংক্রমণ রোধে ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে একাধিক পরিকল্পনা৷
করোনা আবহে ভিড় নিয়ন্ত্রণে কলকাতা পুলিশ এবং আরপিএফ যৌথ ভাবে নজরদারি চালাবে৷ যাত্রীসুরক্ষার কথা ভেবে প্রতি মেট্রো স্টেশনে বসানো হবে স্যানিটাইজেশন চ্যানেল
প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিড় সামলানোর কথা ভাবছে প্রশাসন৷ মেট্রো চালু হলে,মেট্রোতে উঠতে লাগবে ই-পাস,স্মার্ট কার্ড ও কিউ আর কোড
যাত্রীরা কীভাবে পাবেন ই-পাস, জেনে নিন–
প্রতি একঘণ্টার জন্য তৈরি করা হচ্ছে ই-পাস৷ ই-পাস কাটা যাবে মেট্রোর ওয়েবসাইট ও মেট্রোর নতুন অ্যাপ থেকে৷ এছাড়া রাজ্য পরিবহণ দফতরের পথদিশা অ্যাপ থেকেও কাটা যাবে৷ ই-পাস করানোর পর পাওয়া যেতে পারে নতুন স্মার্ট কার্ড৷ অন্যদিকে কিউ আর কোড পেতে আবেদন করতে হবে ৪-৬ ঘণ্টা আগে৷
মেট্রো রেকের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে৷ প্রবেশ পথে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে৷ থার্মাল স্ক্যানিংয়ের চিন্তাভাবনাও রয়েছে।যাত্রী এবং মেট্রো কর্মীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক৷ মেট্রোর ভিতরে ৬ জনের সিটে ৩ জন বসতে পারবেন৷
মেট্রো সূত্রে খবর, ৪ লক্ষ যাত্রীর স্মার্ট কার্ড রয়েছে। অথচ করোনা সতর্কতা মেনে দিনে ৪৫ হাজারের বেশি যাত্রী পরিবহণ সম্ভব নয়৷