তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সীমান্তে নতুন করে প্রস্তুত হচ্ছে ভারত। একদিকে যখন লাদাখ সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে, অন্যদিকে ইস্টার্ন এয়ার বেস পরিদর্শন করলেন বায়ুসেনা প্রধান আর কে এস বাদোরিয়া। ইস্টার্ন এয়ার বেস কতটা তৈরি, বৃহস্পতিবার সেই প্রস্তুতিই খতিয়ে দেখলেন বায়ুসেনা প্রধান বাদোরিয়া।
এই এয়ার বেসে প্রত্যেক বায়ুসেনা পাইলটের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মনোবল বাড়ান প্রত্যেকের। পরিস্থিতি উত্তপ্ত, যে কোনও নির্দেশের জন্য যেন তৈরি থাকা যায়, তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। বাদোরিয়া ও নারাভানের এই পরিদর্শন, বায়ুসেনা ও সেনাবাহিনীতে নতুন করে অক্সিজেন যুগিয়েছে। প্যাংগং লেকে ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে নতুন করে সংঘাতের খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই এই তৎপরতা বেড়েছে সেনায়।
এদিকে, লাদাখ সীমান্ত পরিদর্শনে একদিনের সফরে সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে। ভারতীয় সেনার অবস্থান ঘুরে দেখেন তিনি। সেনা সূত্রে খবর, ফিল্ড কমান্ডাররা লাদাখের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন তাঁর কাছে। ইতিমধ্যেই লাদাখের প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তের দখল নিয়েছে ভারতীয় সেনা।
১৯৬২ সালের যুদ্ধে যে পার্বত্য এলাকার দখল নিয়েছিল চিন, সেই এলাকাতেও উড়ছে ভারতের জাতীয় পতাকা। এই পার্বত্য এলাকার মধ্যে পড়ছে বেশ কয়েকটি উপত্যকা ও পর্বত। চিনা সেনাকে পুরোনো অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে ভারত।
তবে পূর্ব লাদাখে এখনও বেশ কিছু এলাকায় নতুন করে ঘাঁটি তৈরি করেছে চিনা সেনা। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর প্যাংগং লেক এলাকায় নতুন করে সেনাছাউনি চোখে পড়েছে। তৈরি হয়েছে চিনা সেনাঘাঁটি। এই এলাকা থেকেই চিনা সেনাকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল ভারত।
তবে তাতে যে তারা কর্ণপাত করেনি, তা বলাই বাহুল্য। তবে শুধু প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তই নয়, স্পানগার গ্যাপ এলাকাও দখল নিয়েছে ভারতীয় সেনা। এই এলাকা সেনা মুভমেন্টের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৌশলগত দিক থেকে এই এলাকা যে দেশ প্রভাব ধরে রাখতে পারবে, তারা সামরিক দিক থেকেএ এগিয়ে থাকবে।
এই বিষয়টা মাথায় রেখেই চিন স্পানগার লেকের দক্ষিণ প্রান্তে ইতিমধ্যে একটি রাস্তা তৈরি করেছে চিন। যার মাধ্যমে চিনা সেনা যাতায়াত করতে সক্ষম। ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে চিনা ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া, সশস্ত্র গাড়ি। এই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে ভারত।