সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রি হচ্ছে আলু? বাজার পরিদর্শনে ইবি আধিকারিকরা

একে করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় বেশিরভাগ মানুষেরই আয় কমেছেতারই মাঝে হু হু করে বাড়ছে আলুর দাম। স্বাভাবিকভাবে বাজারের ব্যাগ নিয়ে বেরলেই হাতে ছেঁকা লাগছে মধ্যবিত্তের। এই পরিস্থিতিতে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আসরে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে তা সত্ত্বেও নাভিশ্বাস আমজনতার। তাই এবার আলুর দাম সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বাজার পরিদর্শনে ইবি আধিকারিকরা।

বৃহস্পতিবার সাতসকালে ল্যান্সডাউন বাজারে হানা দেন ইবি আধিকারিকরা। ঠিক কত টাকা দরে আলু (Potato) বিক্রি হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। কথা বলেন বিক্রেতাদের সঙ্গে। ঠিক কত টাকা দরে তাঁরা কিনে আলু আবার বিক্রি করছেন, কত টাকা লাভ রাখছেন, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন আধিকারিকরা। এছাড়া ক্রেতাদের সঙ্গেও কথা বলেন ইবি আধিকারিকরা। তাঁরা কতদিন ধরে কত টাকা দরে আলু কিনছেন, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।

উল্লেখ্য, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আলুর দাম আগেই কমাতে বলেছিল রাজ্য। তবে কলকাতা বা তার আশপাশে দাম কমার এখনও কোনও লক্ষণ নেই। ইতিমধ্যে সুফল বাংলার স্টল থেকে সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি চলছে। কিন্তু খুচরো বাজারে সরকারের কথা শুনে আলু বিক্রি শুরুই করেননি ব্যবসায়ীরা। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় অন্তত আলুর দাম যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেই কারণেই নবান্নের তরফে প্রতি কিলো জ্যোতি আলুর দাম ২৫ টাকার মধ্যে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। খুচরো বাজার অনুযায়ী আলুর মূল দাম ধরতে হবে কিলো প্রতি ২৩ টাকা। বাকি দু’টাকা জ্বালানি খরচ বাবদ নেওয়া যাবে। নবান্ন সূত্রের খবর, এই চূড়ান্ত প্রস্তাবে একপ্রকার সায় দিয়েছে আলু ব্যবসায়ীরা। তবে তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি তথৈবচ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.