রবীন্দ্রনাথের বিশ্বভারতীতে শাসক-সমর্থিত দুষ্কৃতী তাণ্ডব


শিক্ষার আঙিনায় এই রাজ্যে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিনই ঘটে চলে নানারকম ঘটনা। তাদের মধ্যে কোনােটা খবরে আসে, আবার কোনােটা-বা আসেও না। বিভিন্ন সময়ে এই সব ঘটনায় আমরা যথেষ্ট আন্দোলিতও হয়ে থাকি। কলেজ বা কোনাে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে বিক্ষোভ, আন্দোলন, শিক্ষক বা অধ্যাপকদের সম্মানহানি করা ইত্যাদি এই রাজ্যে নতুন কোনও বিষয় নয়। তবে সম্প্রতি রাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে গিয়েছে। ভয়ংকর এক বিক্ষোভ তথা আন্দোলন, যা সারা পৃথিবীর কাছে লজ্জায় বাঙ্গালির মাথা হেঁট করে দিয়েছে। তার কারণ, এই বিশ্ববিদ্যালয়টির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ব্যক্তিত্বের নামটিই এক্ষেত্রে সব থেকে বড়াে বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর— এই নামটি বলবার পরে আর কোনও ভূমিকার প্রয়ােজন হয় না। বাঙ্গলা ও বাঙ্গালিকে যে কয়েকজন ব্যক্তিত্ব বিশ্বের দরবারে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, রবীন্দ্রনাথ তাদের মধ্যে একেবারে প্রথম সারির প্রথম কয়েকজনের মধ্যে অন্যতম। রবীন্দ্রনাথ বিশ্বকবি, তিনি বিশ্বের অন্যতম সর্বশ্রেষ্ঠ দার্শনিক। তিনি আমাদের আদর্শ জীবনবােধের সন্ধান দিয়েছেন যা আমাদের প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে সহায়তা করবে। শিক্ষা এই কাজে খুব বড়াে একটি ভূমিকা পালন করে। শিক্ষাঙ্গন, শিক্ষার আদর্শ পরিবেশ, মুক্ত চিন্তার এক ব্যতিক্রমী ও উদার প্রেক্ষাপট— এই সব কিছু নিয়েই সৃষ্টিহয়েছিল রবীন্দ্রনাথের চিরন্তন কীর্তি তথা অমর সৃষ্টি— বিশ্বভারতী। শান্তিনিকেতন, বিশ্বভারতী এবং রবীন্দ্রনাথ যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে রয়েছে। শান্তিনিকেতন তথা বিশ্বভারতীর সঙ্গে তাই আজও যেন রবীন্দ্রনাথ ওতপ্রােতভাবে জড়িয়ে আছেন, এমনটাই মনে করা হয়ে থাকে। এই কারণেই আপামর বাঙ্গালির কাছেই শান্তিনিকেতন এক অনন্য স্থান; বিশ্বভারতী তাইসমস্ত ভারতীয় এবং সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছে শুধুমাত্র একটি পঠনপাঠন, গবেষণা ইত্যাদির কেন্দ্র তথা একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়মাত্র নয়, এটি রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত এক তীর্থভূমি। যার আকর্ষণে দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেই ছুটে আসেন বারে বারে। এক অপরূপ তৃপ্তিবােধ করেন সকলেই। এখানকার দুইটি প্রধান উৎসব – পৌষমেলা ও বসন্তোৎসব ছাড়াও সারা বছরই বিশ্বকবির এই আশ্রমভুমিতে ভিড় থাকেন নানা স্থান থেকে আগত দর্শনার্থীরা।
লেখাটির এই পর্যন্ত পড়ে হয়তাে বা কারও এটা মনে হতেই পারে যে, এটা কী রবীন্দ্রনাথ এবং শান্তিনিকেতন সম্পর্কে কোনও প্রবন্ধ বা অন্য কিছু। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কী, এই ভূমিকাটুকুর প্রয়ােজন ছিল এই কারণেই যে, অতি সম্প্রতি বিশ্বভারতীর অধিকারভুক্ত শান্তিনিকেতন পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল তােলাকে কেন্দ্র করে যে ভয়ংকর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে এবং স্বতঃস্ফুর্ত জনরােষের নামে যে সব বেপরােয়া কাজকর্ম হয়েছে, তাতে নিঃসন্দেহেই শান্তিনিকেতনের গরিমা তথা গৌরবের নিদারুণ হানি হয়েছে। বাঙ্গালি হিসেবে এই ঘটনা সারা পৃথিবীর কাছে লজ্জায় আমাদের মাথা হেঁট করে দেয়। মুখে রাবীন্দ্রিক আদর্শ এবং পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা বললেও এটা বুঝতে একেবারেই অসুবিধা হয় না যে, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে রাজ্যেরশাসকদলের সমর্থন কারণ, তা নাহলে এত বড়াে একটি সুসংগঠিত ধ্বংসাত্মক কাজ করা সম্ভব হয় । সমস্ত টিভি চ্যানেলের দৌলতে এই ঘটনাটি আমরা সকলেই প্রত্যক্ষ করেছি। বহু পণ্ডিত ও গণ্যমান্য ব্যক্তিও এই কথা স্বীকার করেছেন যে, সেদিন (১৭ আগস্ট, ২০২০ সােমবার) যে উদ্ধত এবং দুর্বিনীত ভঙ্গিমায় মেলার মাঠের পাঁচিল, স্তম্ভ, গেট বা ফটক (যেগুলি বহু বছরের ঐতিহ্যের সাক্ষী ছিল) ইত্যাদি একেবারে লােডার বা বুলডােজার চালিয়ে তাণ্ডবের মাধ্যমে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, তা একেবারে বীভৎস একটি ঘটনা এবং শাসকের সমর্থন ছাড়া তা কখনই সম্ভব নয়। আমাদের রাজ্যের মহামহিম রাজ্যপালও এই ঘটনার অত্যন্ত নিন্দা করেছেন এবং দোষীদের যথাযােগ্য শাস্তির ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন। বলাই বাহুল্য যে, রাজ্য সরকার রাজ্যপালের কোনও নির্দেশ বা পরামর্শইকেই গুরুত্ব দেয় না এবং এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম যে হবে না। যদিও এই ঘটনায় সামান্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তথাপি এটা তাে প্রশ্ন থেকেই যায় যে, যে ঘটনায় কয়েক হাজার লােক উপস্থিত ছিল, তার মধ্যে মাত্র কয়েকজনকেই গ্রেপ্তার করাই কি যথেষ্ট? এই ঘটনায় অবশ্যই আরও বহুলােক জড়িত ছিল। তাদেরও গ্রেপ্তার করা আবশ্যক।
যে জমিটি বা মেলার মাঠ নিয়ে এত কথা, তা হলাে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের অধীনস্থ। তাই এই জমিতে যদি নিরাপত্তার স্বার্থে এবং অসামাজিক কাজকর্ম বন্ধ করবার জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মাঠটি ঘিরে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তবে তা নিয়ে এত বিতর্কের কী কারণ আছে, তা তাে বােঝা যায় না। বিশ্বভারতীতে এর আগেও পাঁচিল তােলা হয়েছে। কিন্তু তখন কোনাে বিতর্ক তৈরি হয়নি। তর্কের খাতিরে যদি এটা ধরে নেওয়াও হয় যে, এতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের হানি হবে, তবে যে সব ব্যক্তির আপত্তি ছিল, সেই সব রবীন্দ্রপ্রেমী পরিবেশবিশারদরা আদালতের দ্বারস্থ হতেই পারতেন। তা না করে এই সব ব্যক্তি জবরদস্তির রাস্তাই বেছে নিয়েছিলেন। বােঝাই যায় যে, এই ঘটনায় অন্য কোনও স্বার্থও কাজ করেছে। তবে তা তদন্তসাপেক্ষ। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি অভিযােগও দায়ের করেছেন। এই সব অভিযােগের সারাংশ প্রসঙ্গে এবারে আলােচনা করা যাক। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সরাসরি যে অভিযােগগুলি করেছেন, তা এইরকম—
(ক) তৃণমূল নেতৃত্ব অর্থাৎ তৃণমূলের নেতারা এই ঘটনায় জড়িত।
(খ) পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযােগও দায়ের করা হয়েছে বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে। পুলিশের তরফ থেকে সেদিন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে কোনও ভাবেই সহযােগিতা করা হয়নি।
এই ঘটনার পরে সাময়িক ভাবে বিশ্বভারতী সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সমস্ত বিবরণ জানানাে হয়েছে। কারণ তিনি বিশ্বভারতীর আচার্য।
বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে এটাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, শাসকদলের বিধায়ক এবং অন্যান্য নেতারা সেদিন বিশ্বভারতী বিরােধী বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন। এমনটাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিশ্বভারতীর অধ্যাপক বিপ্লব রায়চৌধুরীর বাড়িতে পর্যন্ত দুষ্কৃতীরা অত্যন্ত বিপজ্জনক ভাবে ভাঙচুর করেছে। এছাড়া, বােলপুরের অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রখ্যাত চিকিৎসক সুশােভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূর্তিতেও দুষ্কৃতীরা কালি লেপন করে দিয়েছিল। বােঝাই যায় যে, বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্যের কঠোর পদক্ষেপে কায়েমি স্বার্থান্বেষীদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে। এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয়ে উল্লেখ করা অত্যন্ত আবশ্যক। এগুলি হলাে যথাক্রমে—
(ক) বহু বছর ধরেই বিশ্বভারতী তথা শান্তিনিকেতন এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এত বিশাল খােলামেলা এলাকায় নানা দুষ্কৃতীর আনাগােনা রয়েছে। তাছাড়া, বিভিন্ন রকম অসামাজিক কাজকর্মও নিয়মিতই ঘটে চলে। এজন্য সুবিশাল এই আশ্রম ও বিশ্ববিদ্যালয়-চত্বরের বা এলাকার সুনির্দিষ্ট সীমারেখা থাকাটা একান্তই জরুরি।
(খ) বিশ্বভারতীর বহু জমি বেদখল হয়ে যাওয়ার কথাও বিভিন্ন আলােচনায় উঠে এসেছে।
(গ) রাজ্য সরকারের প্রায় সকল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের সীমানা সুচিহ্নিত করেছে সীমারেখা বা পাঁচিল ইত্যাদির দ্বারা। সেক্ষেত্রে বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ যদি এই সীমানা সুরক্ষিত করবার কাজ করতে চান, তাে তাতে আপত্তির কী থাকতে পারে?
(ঘ) এই ঘটনার পরে সম্প্রতি বিশ্বভারতীর উপাচার্য একটি খােলা চিঠিতে অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তার মতে, সেদিনের ঘটনা পেশীশক্তির আস্ফালন ও প্রদর্শন ছাড়া অড় আর কিছুই নয়। কেউ কেউ। আবার নিজেদের প্রাক্তনী পরিচয়ের অজুহাত দিয়ে সেদিনের গােলমালে অংশগ্রহণের পক্ষে যুক্তি দিতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এক্ষেত্রেও উপাচার্যের কথায় রয়েছে সমুচিত জবাব। তাঁর মতে, বিশ্বভারতীতে কেউ পড়লেই তিনি রাবীন্দ্রিক হয়ে যান না। তাছাড়া, ভূমিপুত্র হিসেবে চাকরির দাবিদার। হয়ে যে অনেক অযােগ্য ব্যক্তি জোর করতে থাকেন—এটাও তার কথায় স্পষ্ট। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, উপাচার্য সরাসরি এই কথাই জানিয়েছেন যে, দুষ্কৃতীরা নিজেদের রাজনৈতিক নেতাদের সমর্থনেই এই ব্যাপক লুঠতরাজ ও ভাঙচুর করেছিল। তার বক্তব্য থেকে আরও জানা যায় যে, পুরােনাে পৌষমেলার মাঠে ৩০ বছর আগেই বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় এবং কয়েক বছর আগে থেকেই ওই মাঠে সর্বসাধারণের যেমন খুশি প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ হয়। উল্লেখ্য যে, স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের সময়েই চীনা ভবন পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় নিরাপত্তার কারণে। এছাড়া, গত বছরই আদালতের নির্দেশ মেনে চলবার কারণে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পৌষমেলার সময়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বিরাগভাজন হয়েছিলেন। তাই বােঝাই যায় যে, সাম্প্রতিক এই ঘটনাটি অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। এই বিষয়ে উঠেছে সিবিআই তদন্তের দাবিও বস্তুত সেক্ষেত্রেই একমাত্র নিরপেক্ষ তদন্ত হতে পারে।
রাজ্যে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্তর থেকে এটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এই পাঁচিল নির্মাণে আপত্তি রয়েছে এবং যে সব আন্দোলন, প্রতিবাদ ইত্যাদি হয়েছে ও হচ্ছে, তাকেও সমর্থন জানানাে হয়েছে। এই বিষয়ে আরও একটি কথা উল্লেখ করা আবশ্যক। তা হলাে এই যে, এই ঘটনার পরেই বিশ্বভারতীর উপাচার্যের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, যা আরও একবার প্রমাণ করে যে, এই ঘটনাতে শাসকদলের সমর্থন রয়েছে।
বিশ্বভারতীর নিরাপত্তার বিষয়ে বহুদিনই কেন্দ্রীয়বাহিনী, কেন্দ্রীয় সংস্থা ইত্যাদির বিষয়ে আলােচনা, দাবি পেশ ইত্যাদি হয়ে আসছে। এখন সময় হয়েছে যে, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক এবং যারা এই বৃহৎ ষড়যন্ত্রের পিছনে রয়েছে, অবিলম্বে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক। অন্যথায় রবীন্দ্রস্মৃতি বিজড়িত এই বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক সমর্থনপুষ্ট দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য দিনে দিনে আরও বেড়েই যাবে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকবে অসামাজিক কাজকর্মও। পাশাপাশি যেসব ব্যক্তি রবীন্দ্রচিন্তার বিরােধী বলে এই পাঁচিল তােলাকে নিয়ে বিক্ষোভ তথা আন্দোলন প্রদর্শন করছেন, তাদের এটা বােঝা দরকার। যে, যুগের পরিবর্তন, সমাজের মানসিকতার বদল ঘটে যাওয়ার কারণে এই সুবিশাল আশ্রমের তথা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থেই প্রয়ােজন সুদৃঢ় সীমারেখা দেওয়া— তাই একে অবহেলা করা চলে না।
শান্তিনিকেতন ও বিশ্বভারতী রবীন্দ্রনাথের অতুলনীয় কর্মযজ্ঞের উদাহরণ। সারা পৃথিবীর কাছে বাঙ্গালি তথা সমস্ত ভারতবাসীর গর্বের সম্পদ হলাে এই বিশ্ববিদ্যালয়। সেই প্রাঙ্গণে এই ঘৃণ্য ও বর্বরােচিত ভাঙচুর বাঙ্গালির ইতিহাস ও রবীন্দ্রনাথের প্রতি সম্মান বা রবীন্দ্রপ্রেমকে একেবারেই ধুলােয় মিশিয়ে দিয়েছে। এই প্রবন্ধের পরিসমাপ্তিতে তাই রবীন্দ্রনাথের কাছে অবনত হয়ে, তাকে প্রণাম জানিয়ে সেই প্রশ্নই করা উচিত, যা তিনি নিজে একদিন সর্বশক্তিমান ভগবানকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন—
“যাহারা তােমার বিষাইছে বায়ু,
নিভাইছে তব আলাে, তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ? তুমি কি বেসেছ ভালাে?”
রামানুজ গােস্বামী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.