সংসদেও প্রশ্ন করার অধিকার হারাচ্ছে বিরোধীরা! বাদল অধিবেশনে বাদ ‘কোশ্চেন আওয়ার’

সংসদের বাদল অধিবেশনের (Monsoon Session) আগেই শুরু গেল বিতর্ক। কারণ, সরকারের তিন সিদ্ধান্ত। এক, অধিবেশনের প্রথম ঘণ্টা অর্থাৎ ‘কোশ্চেন আওয়ার’ বাতিল করা। দুই, প্রাইভেট মেম্বার বিজনেস বাতিল করা। এবং তিন, জিরো আওয়ারের সময় কমিয়ে আধ ঘণ্টা করা।

সেই লকডাউনের আগে বন্ধ হয়েছিল সংসদ (Parliament)। করোনার জেরে তারপর আর অধিবেশনের কথা ভাবাও যায়নি। সরকারের যাবতীয় কাজকর্ম চলছে ভারচুয়ালি। সংসদীয় কমিটির বৈঠকগুলিও হয়েছে অনলাইনেই। কিন্তু এবার আর ভারচুয়াল নয়, অ্যাকচুয়াল সংসদ খুলছে কেন্দ্র। তবে বেশ কিছু সতর্কতা মেনে। করোনা বিধি মানতে গিয়ে চিরাচারিত কিছু প্রথা এবার বাদ দিতে হচ্ছে। রাজ্যসভার সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যসভা এবং লোকসভা অধিবেশন একসঙ্গে চলবে না। আলাদা আলাদা সময়ে মাত্র ৪ ঘণ্টা করে দুই কক্ষের অধিবেশন বসানো হবে। প্রথমে বসবে রাজ্যসভা অধিবেশন। তারপর বসবে লোকসভা অধিবেশন। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রাজ্যসভা অধিবেশন বসবে। রাজ্যসভা মিটলে বিকেল ৪টের পর আবার শুরু হবে লোকসভা অধিবেশন। চলবে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে অধিবেশন। প্রথম দিন অবশ্য সকালে লোকসভা বসবে এবং বিকেলে রাজ্যসভার অধিবেশন বসবে।


মাত্র ৪ ঘণ্টার অধিবেশন। তাই সংসদ অধিবেশনের প্রথম ঘণ্টা অর্থাৎ কোশ্চেন আওয়ার পুরোপুরি ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এই এক ঘণ্টায় বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারপক্ষকে প্রশ্ন করার অধিকার পায় বিরোধীরা। এবং লিখিত হোক বা মৌখিকভাবে হোক, সরকার সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য থাকে। কিন্তু ১৯৫০ সালের পর এই প্রথমবার সংসদের অধিবেশনে কোনও কোশ্চেন আওয়ার থাকছে না। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ বিরোধীরা। এ নিয়ে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরি থেকে তৃণমূলের ডেরেক ও ব্রায়েন, সকলেই সরব হয়েছেন। তাঁরা বলছেন, সরকার সুকৌশলে বিরোধীদের ন্যায্য অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। আসলে যে কোনও ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই ভয় পায় মোদি সরকার। জিরো আওয়ারের সময়সীমা কমা নিয়েও ক্ষুব্ধ বিরোধী শিবির। এই এক ঘণ্টায় সাধারণত সমসাময়িক সমস্যা নিয়ে আলোচনার সুযোগ পান বিরোধীরা। সেটাও কমিয়ে আধ ঘণ্টা করা হয়েছে। যা নিয়ে ক্ষোভের আঁচ টের পেয়ে আসরে নেমেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি নিজে বিরোধীদের ফোন করে বোঝাচ্ছেন যে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিরুপায় হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.