শ্রীকৃষ্ণ মােতলগের বাড়ি নাগপুর শহরে। তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে প্রচারক বের হন। শ্রীগুরুজী নাগপুরের স্বয়ংসেবকদের বাড়ি গিয়ে বলতেন— “মা আপনার একটা ছেলেকে সঙ্ঘের কাজে দিতে হবে। সেই আহ্বানে শ্রীকৃষ্ণজীর বড়দার প্রচারক বেরােনাের কথা ছিল। কিন্তু তিনি না বেরােনােয় শ্রীকৃষ্ণজী প্রচারক বেরােন। তিনি প্রথম নাগপুর মহানগরের প্রচারক ছিলেন, তারপর অসমে সঙ্ঘের কাজে নিযুক্ত হন। এরপর ১৯৮১ সালে পশ্চিবঙ্গে সহ-প্রান্ত প্রচারকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
পরবর্তীকালে প্রান্ত প্রচারক, ক্ষেত্র প্রচারক হিসেবে কাজ করেছেন। অখিল ভারতীয় সহ-প্রচারক প্রমুখের দায়িত্বও পালন করেছেন। পরবর্তীকালে শারীরিক অসুস্থতার কারণে নাগপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাঁর কেন্দ্রস্থল হয়। মনে পড়ে শ্রীকৃষ্ণজী বৈঠকে ছােটো ছােটো বিষয়গুলির প্রতি বিশেষ নজর দিতেন। তাঁর কাছে স্বয়ংসেবকরা যে কোনাে প্রশ্ন করলে সরলভাবে তার উত্তর দিতেন। পশ্চিমবঙ্গে এসে এখানকার চালচলন, কথাবার্তা সবই বাঙ্গালিদের মতনই শিখে নিয়েছিলেন। শ্রীকৃষ্ণজী গ্রামে গ্রামে যখন ঘুরতেন তার অসুবিধাই হতাে, কিন্তু তিনি কাউকে বুঝতে দিতেন না। কল্যাণী শিবিরে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুবাদে আর্কিটেক্টের দায়িত্বটা তিনিই পালন করেন। তার মতাে কর্মযােগী প্রচারক থাকায় সঙ্কাজ বিভিন্ন বাধার মধ্যেও এগিয়ে গিয়েছে। ‘One life one mission’— এটাই শ্রীকৃষ্ণজী তার জীবনে করে দেখিয়েছেন।
বিদ্যুৎ দত্ত
(লেখক সঙ্ঘের প্রবীণ প্রচারক)
2020-08-31