সামাজিক দূরত্ব রাখতে নয়া কৌশল, শহরতলির রেল স্টেশনে বসছে চলমান সিঁড়ি

শহরতলির ট্রেন চলাচল নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি রেল। তবে নিউ নর্মালে রেল চত্বর ব্যবহারের পদ্ধতি আমূল বদলে যাচ্ছে। একের ঘাড়ে অন্য চড়ে যাত্রার পদ্ধতি আর চলবে না। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে নয়া কৌশল নিচ্ছে ভারতীয় রেল।

প্রবেশ ও বেরনোর পথেও দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যবহার হবে চলমান সিঁড়ি ও লিফট। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি এই সিঁড়ি ও লিফট সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবে। হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান জানিয়েছেন, হাওড়ার শহরতলির ছটি স্টেশনে বসানো হচ্ছে চলমান সিঁড়ি ও আরও ছটি স্টেশনের লিফট বসানো হচ্ছে। ফুটওভারব্রিজে ওঠানামার সুবিধার জন্য যাত্রীরা এই স্বাচ্ছন্দ্য ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি একে অন্যের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে পারবেন। লিলুয়া, নবদ্বীপ, আজিমগঞ্জ, ডানকুনি সহ আরও দুটি স্টেশনে বসানো হচ্ছে লিফট। ব্যান্ডেল, বর্ধমান, রামপুরহাট সহ আরো তিনটি স্টেশনে চলমান সিঁড়ি বসানোর কাজ চলছে। মূলত যাত্রী বহুল রোডসাইড স্টেশনগুলিতে এই সুবিধা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। পরে অন্য স্টেশন গুলিতেও এই স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়া হবে। চলতি বছরে স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের বিশেষ সুবিধা দিতে এই পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কোভিড পরিস্থিতিতে ট্রেন বন্ধের সুযোগে ও সামাজিক দূরত্ববিধিতে এই স্বাচ্ছন্দ্য অত্যন্ত কার্যকর হওয়ায় তার নির্মাণ কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করা হচ্ছে। লোকাল ট্রেন চালু পর্বে হাতে এগুলি কার্যকর ভূমিকা দিতে পারে সেই লক্ষে কাজ এগোচ্ছে বলে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ জানিয়েছে।


হাওড়া ডিভিশনে এই যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যমূলক কাজ তড়িঘড়ি শেষ করার চেষ্টা হলেও শিয়ালদহ স্টেশনে দু’টি চলমান সিঁড়ি ছাড়া রোডসাইড স্টেশনগুলোতে কাজ শুরু হয়নি। মূলত অর্থের অভাবে। ডিআরএম এসপি সিং বলেন, “টাকা কোথায়। পরিকল্পনা রয়েছে, তা কার্যকরী করতে অর্থের প্রয়োজন। যা ডিভিশনের ভাঁড়ারে নেই। এখন মূল লক্ষ্য ট্রেন যাত্রীবাহী চালানোর বিষয়। আয় বাড়াতে পণ্যবাহী ট্রেন চালানোর একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও যাত্রী ট্রেন নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।” অবিলম্বে কোনও নির্দেশের আশায় রয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.