দেশে ফের লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। শেষ ২৪ ঘন্টায় আবার করোনা আক্রান্ত হলেন ৭৮ হাজারের বেশি মানুষ। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯৭১ জনের।
নতুন করে ৭৮ হাজার ৫১২ জনের আক্রান্ত হওয়াতে দেশজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা পৌঁছল ৩৬ লক্ষ ২১ হাজার ২৪৬ এ। এরমধ্যে অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ৭ লক্ষ ৮১ হাজার ৭৯৫টি, সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৭ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮০২ জন। দেশজুড়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬৪ হাজার ৪৬৯ জনের।
একদিকে যেমন প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। তেমনই দিন দিন চরিত্র বদলাচ্ছে এই মারণ ভাইরাসও। প্রতিদিনই এর গবেষণায় বেরোচ্ছে নতুন নতুন তথ্য।
গবেষণা বলছে এই ভাইরাসের বহনকারীরা ৮০ শতাংশই অ্যাসিমপ্টোম্যাটিক। অর্থাৎ এদের মধ্যে ভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ার কোনও লক্ষণ নেই, থাকলেও তা খুবই মৃদু।
এই বিষয়ে গবেষণা আরও জানাচ্ছে মহিলাদের থেকে পুরুষরাই এই ভাইরাসে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এর নির্দিষ্ট কিছু কারণও তুলে ধরেছে গবেষণা। মহিলাদের থেকে বেশি হারে পুরুষরা মারা যাচ্ছেন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে।
এর পিছনে যেমন রয়েছে পুরুষদের শারীরিক গঠন বৈশিষ্ট্য, তেমনই রয়েছে কিছু অস্বাস্থ্যকর দৈনন্দিন অ্ভ্যাসও। যার জেরে বেশি অসুস্থ হচ্ছেন পুরুষরা, বলছে রিপোর্ট। বিশ্ব জুড়ে মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে করোনা ভাইরাসের শিকার হয়েছেন। কিন্তু রিপোর্ট অনুযায়ী পুরুষের শরীরে বেশি ছাপ বা প্রভাব ফেলছে এই ভাইরাস।
পর্যবেক্ষণ জানাচ্ছে মহিলাদের থেকে পুরুষের ধূমপান করার বা মদ খাওয়ার নেশা বেশি হয়। সেই নেশা শরীরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এছাড়াও বিভিন্ন নিয়ম না মানা, শারীরিক দুর্বলতা বা অসুস্থতাকে গুরুত্ব না দেওয়ায় আরও ক্ষতিবৃদ্ধি হয়। গবেষকরা জানাচ্ছেন মূল কারণ হল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ইউরোপে যত জন করোনা রোগি মারা গিয়েছেন, তার মধ্যে ৬৩ শতাংশই পুরুষ। ভারতের ক্ষেত্রে সেই অনুপাত ৬৫:৩৫ (পুরুষ-মহিলা)।
অন্যদিকে এই সময়ে চতুর্থ পর্যায়ের আনলক থেকে একাধিক পরিষেবা চালু হতে চলেছে দেশ জুড়ে। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে মেট্রো পরিষেবা। এছাড়াও বেশ কিছু পরিষেবা চালু হতে পারে।
২১ সেপ্টেম্বর থেকে বেশ কিছু অনুষ্ঠানে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। যার মধ্যে থাকবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, খেলাধূলা, সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানও। অনুষ্ঠানে ১০০ জনকে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। এছাড়া আনলক ৪ এ এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে অথবা এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে যানবাহনগুলির আর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকছে না। কোনও আলাদা পারমিটও লাগবে না।