কন্যা সন্তানের পিতাদের জন্য নারী শিক্ষার উন্নয়নের কথা ভেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিয়ে এসেছিল সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা। যা প্রধানমন্ত্রীর বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পের একটি অংশ। এই প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে উপকৃত হচ্ছেন অনেকে সাধারন মানুষ। এদিকে দীর্ঘমেয়াদি লগ্নি প্রকল্প হিসেবে রয়েছে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ ৷ এই দুই প্রকল্পের মধ্যে কার জন্য সুবিধা কোনটিতে বেশী তা আলোচনা করা হল। দেখতে হবে কোনটি কার জন্য প্রযোজ্য৷
বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী, যদিও সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা থেকে পিপিএফের মতই ছাড় এবং ট্যাক্স সংক্রান্ত সুবিধা পাওয়া যায়। তবে ফারাক টা হচ্ছে সময় নিয়ে। পিপিএফের সময়সীমা তুলনায় অনেকটাই বিনিয়োগকারীদের সুবিধামত হয়ে থাকে। যা সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা তে হয় না।
এই যোজনা অনুযায়ী বিনিয়োগকারীরা আয়কর আইন অনুসারে ৮০সি ধারাতে ছাড় পাওয়া যায় এবং বিনিয়োগের উপরে ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। পিপিএফের ক্ষেত্রেও আয়কর ছাড় সংক্রান্ত সুবিধা একইরকম হলেও বিনিয়োগকারীদের ইচ্ছের উপর তা নির্ভরশীল। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা চাইলে তবে বিনিয়োগ করতে পারেন। এই পিপিএফের মেয়াদকাল ১৫ বছর তবে তা অতিরিক্ত ৫ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যায়। কোন বিনিয়োগকারী চাইলে একেবারে ১৫ বছর পরে পুরো টাকা তুলে নিতে পারবেন। আবার চাইলে এক বছর এক বছর করে অতিরিক্ত পাঁচ বছর রাখতেও পারবেন।
তবে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনাতে বিনিয়োগকারীরা টাকা তাঁর কন্যা ১৮ বছর বয়সের আগে কোনভাবেই তুলতে পারবেন না। তবে ১৮ বছরের পরেও বিনিয়োগকারীরা জমানো অর্থের ৫০ শতাংশ তুলতে পারবেন। বাকিটা তুলতে পারবেন কন্যা সন্তানের ২১ বছর বয়স হওয়ার পরে। এছাড়াও এই দুই প্রকল্পের সব থেকে বড় পার্থক্য হল পিপিএফে বিনিয়োগকারীরা
৭.৯ শতাংশ রিটার্ন পেতে পারেন তবে সুকন্যা যোজনাতে বিনিয়োগকারীরা ৮.৫ শতাংশ রিটার্ন পেতে পারেন। যদিও প্রাথমিকভাবে সুকন্যা যোজনা সুবিধাজনক হলেও একটি জিনিস মনে রাখা দরকার তা হল সুকন্যা যোজনা হল সম্পত্তিগত বিনিয়োগ আর পিপিএফ তুলনায় হল নগদে বিনিয়োগ এবং পাঁচ বছর তা থেকে টাকা তুলে নেওয়ার সুযোগ থাকে ।
যে কোন বিনিয়োগকারীরা পাঁচ বছর পরে পিপিএফে পুনরায় বিনিয়োগ করতে পারবেন এবং ১০.৫ থেকে ১১ শতাংশ হারে ট্যাক্স থেকে সুবিধাও পাবেন। পিপিএফে বিনিয়োগকারীরা ৮ শতাংশ হারে রিটার্ন পেতে পারেন কিন্তু সুকন্যা যোজনাতে ৮.৫ থেকে ৯ শতাংশ হারে রিটার্নের সুবিধা পেতে পারেন।