কয়েকটি আঞ্চলিক সংবাদ পোর্টাল এবং স্থানীয়দের মতে, ১লা মে তারিখে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায় কিছু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ “পাকিস্তান জিন্দাবাদ” এর স্লোগান দিলে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় গণমাধ্যম গুলিতে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে জানা যায়, নদীয়া জেলার ধুবুলিয়া শহরে একটি চা এর দোকানে কিছু লোক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন। কিছুক্ষনের মধ্যে স্থানীয় জয়নাল শেখ নামক মুসলিম সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি আলোচনায় যোগ দেন। শেখ সবার সামনে পাকিস্তানের প্রশংসা করতে শুরু করেন, এমনকিএক সময় ঐ দেশের সমর্থনে স্লোগানও দিতে শুরু করেন বলে অভিযোগ।
ঐ সময় চা স্টলে উপস্থিত ছিলেন দেবকুমার নামে একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মী । এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে স্লোগানগুলির প্রতিবাদ করে জয়নাল শেখ কে বলেন তিনি যদি ঐ দেশকে এত পছন্দ করেন তবে তিনি পাকিস্তান চলে যান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাক্ষীদের মতে দেবকুমারের মন্তব্যে শেখ নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাকে সজোরে আক্রমণ করে।
একজন সেনা সদস্য হিসাবে দেবকুমার বাবু ও ছেড়ে দেবার কিংবা পিছু হটার পাত্র ছিলেন না। মুহূর্তের মধ্যে চা স্টল এ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে উপস্থিত অন্যান্যরা শেখ কে অন্যত্র দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যান ও পরিস্থিতি সামাল দিতে। ঐ জায়গা ছেড়ে যাওয়ার সময় যদিও শেখ হুমকি দেন যে তিনি শাস্তি দেওয়ার জন্য ফিরে আসবেন।
কয়েক ঘন্টা পরে ২0-30 জনকে সঙ্গে করে শেখ ঘটনাস্থলে ফিরে এসে এবং ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেন। শেখ ও তার লোকজন শ্রীযুক্ত দেবকুমারের বাড়ি আক্রমণ করে। কিন্তু যখন তারা দেখে যে তিনি বাড়িতে নেই, তখন তাদের সমস্ত রাগ তার প্রতিবেশী সুকান্ত গায়েন নামে এক দরিদ্র অটোরিক্সার চালককে র উপর উগরে দেন।
দরিদ্র অটোরিক্সার চালককে নিষ্ঠুরভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। স্থানীয়দের মতে, শেখ ও তার লোকেরা গোলাগুলি ছোড়ে এবং এলাকা জুড়ে বোমাবাজি করতে থাকে। এর সত্যতা যাচাই করা যায়নি। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে যে সীমা অতিক্রম করলে স্থানীয় মহিলাদের অপহরণ করা হবে বলে তারা হুমকি দিতে থাকে। পরদিন স্থানীয়রা বিক্ষোভ মিছিল করে। তারা দোষীদের শাস্তি দেবার জন্য পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযঅগ করেছে। জয়নাল শেখ ও তার লোকজন কে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানা গেছে।