গত কয়েকদিন আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে আনলক ৪ নিয়ে নতুন গাইডলাইন প্রকাশিত হয়। যেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়, সংক্রমিত এলাকা ছাড়া রাজ্যের আর কোথাও লকডাউন করার অধিকার রাজ্য সরকারের নেই। স্বতন্ত্রভাবে লকডাউন করতে হলে রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে।
সেখানে ৭, ১১, ১২ এই তিন দিন বাংলায় পূর্ণ লকডাউন হবে কিনা, তা নিয়ে ধোয়শা তৈরি হয়। তবে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, সমস্ত প্রোটোকল মেনেই লকডাউন ঘোষণা হয়েছে বাংলায়। ফলে আগামী ৭, ১১ এবং ১২ তারিখ পূর্ণ লকডাউন হতে আর কোনও সমস্যা নেই।
অন্যদিকে, কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়ানো হল। আগে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল।
হিসেব মত সোমবারই শেষ হচ্ছে সেই লকডাউনের মেয়াদ। আর তার আগেই লকডাউনের মেয়াদ নতুন করে বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হল।
সোমবার এই সংক্রান্ত নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে। স্কুল, কলেজ বা কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপাতত খোলা যাবে না। কোনও ধরনের জমায়েতেও নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
তবে কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে কিছু ক্ষেত্রে নতুন করে ছাড় দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। জানা গিয়েছে, ২১ সেপ্টেম্বর থেকে কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে খোলা হবে ওপেন থিয়েটার। তবে অবশ্যই নিতে হবে অনুমতি। যদিও পুরো সেপ্টেম্বর বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্ধ থাকবে সিনেমা হল, সুইমিং পুল, বিনোদন পার্ক। তবে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যে মেট্রো চালু হবে বলেও জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে সপ্তাহে দুদিন ব্যাপী সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেন। গোটা অগস্ট মাসে মোট আটদিন সম্পূর্ণ লকডাউন করা হয়। আজ সোমবার মাসের শেষ লকডাউন চলছে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই চলছে এই লকডাউন। তবে সেপ্টেম্বর মাসে তিনদিন সম্পূর্ণ লকডাউনের কথা বলা হয়েছে। ১৭ তারিখ বিশ্বকর্মা পুজো। এরপর ফের কবে কবে লকডাউন হবে তা জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, শহর কলকাতায় কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমেছে৷ ১১ থেকে কমে বর্তমানে সংখ্যা ৮৷ এর আগে ১৭ থেকে কমে হয়েছিল ১১৷ এক সময় এই সংখ্যাটা ৩৯ পৌঁছে গিয়েছিল৷ কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, কয়েক দিন আগেই শহরে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যাটা ১১ ছিল৷
আরও জানানো হয়েছে, জেলাগুলির ক্ষেত্রে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। আনলক ৪.০ গাইডলাইন অনুযায়ী, রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংখ্যাগুলি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রককেও জানানো হবে।
জুলাই মাসের ২৩ তারিখ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সাপ্তাহিক লকডাউন শুরু করেছিল যেখানে প্রতিসপ্তাহে দু’দিন করে লকডাউন করা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবারের পরে ৩১ অগাস্ট অর্থাৎ সোমবার কমপ্লিট লকডাউন মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খোলা থাকবে জরুরি পরিষেবা তবে বাকি সবকিছু বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।