খুব শিগগিরই বিশ্বভারতী (Vishva Bharati) প্রকৃত অর্থেই বিশ্ব-ভারতী হতে চলেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চেয়েছিলেন, তাঁর শান্তিনিকেতনের শিক্ষাদর্শ ছড়িয়ে দিতে। তার সেই লক্ষ্যেই এবার বিশ্বভারতী উত্তরাখণ্ডের রামগড়ে বিশ্বভারতী একটি উপকেন্দ্র তৈরি করছে। একই ভাবে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে পিপিপি (PPP) মডেলে একটি পূর্ণাঙ্গ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্কের সহযোগিতায় রামগড়ের ক্যাম্পাস চালু হবে শিগগিরই। প্রথমিকভাবে সেখানে সমাজবিজ্ঞান ও গ্রামোন্নয়ন কেন্দ্র, ভাষাচর্চা কেন্দ্র, জননীতি ও উত্তম শাসন-পরিচালনা কেন্দ্র এবং হিমালয়চর্চা কেন্দ্র চালু করা হবে। একই ভাবে বিশ্বভারতীর পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতাল কমপ্লেক্সের মধ্যে পিপিপি মডেলে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এ নিয়ে উপাচার্য তাঁর চিঠির শেষে উল্লেখ করেছেন, অডিট আপত্তি এবং শিক্ষামন্ত্রকের নির্দেশ পালন করতে এবং বিশ্বভারতীর অতীত গরিমা ফিরিয়ে আনতে কতৃপক্ষ বদ্ধপরিকর।
উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তাঁর শেষ চিঠিতে এসব বিষয় জানিয়েছেন। পাশাপাশি অবশ্য তিনি আশ্রমিক এবং প্রাক্তনীদের আবার কাঠগড়ায় তুলেছেন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ”আপনারা অসংগত আচরণ করবেন না যাতে বিশ্বভারতীর মঙ্গল হওয়ার পরিবর্তে কোনও অনভিপ্রেত অমঙ্গল হয়।” একইভাবে ‘ন্যাক’ এবং ‘NIRF’ র্যাংকিং বিশ্বভারতীর অতীত গরিমা ফিরিয়ে আনতে পারবে বলে তিনি মনে করেন না, তাও উল্লেখ করেছেন। এই বিষয়ে আশ্রমিকদের অভিযোগ, বিশ্বভারতীতে শিক্ষা এবং পরিকাঠামোর উন্নয়ন বাদে সব কিছুই হচ্ছে। তাই বিশ্বভারতীর র্যাংকিং-এ বিশেষ কিছু পরিবর্তন হবে না।
এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বভারতী থেকে বহিষ্কৃত হওয়া প্রাক্তন উপাচার্য সবুজকলি সেন বলেন, ”এটা প্রত্যাশিত ছিল। ব্যক্তিগত প্রতিশোধস্পৃহা এবং ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা থেকেই এই পদক্ষেপ। পুরো বিষয়টি ভালভাবে দেখলে দেখা যাবে,আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন সারবত্তাই নেই।”