২০২৮ সালের অলিম্পিকে পদক তালিকার ভারত প্রথম দশটি দেশের মধ্যে থাকবে।সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এবং সার্বজনীন প্রচেষ্টায় ক্রীড়া ক্ষেত্রে ভারত মহাশক্তিধর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।শনিবার রাষ্ট্রীয় ক্রীড়া এবং সাহসী পুরস্কার ২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, মেজর ধ্যানচাঁদের জীবন ক্রীড়াবিদদের পাশাপাশি অগুনতি দেশবাসীর জন্য আদর্শের প্রতীক। ইউরোপে মহাত্মা গান্ধীর পর মেজর ধ্যানচাঁদ দ্বিতীয় ভারতীয় যাকে নিয়ে বহুল চর্চা করা হয়েছে।সাদামাটা পরিবেশ ও সামান্য সুযোগের মধ্যে নিজের নিষ্ঠা ও অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে এক অসাধারণ কীর্তি স্থাপন করে গিয়েছেন। মেজর ধ্যানচাঁদ থেকে আজকের সফল ক্রীড়াবিদ এবং প্রশিক্ষক পর্যন্ত প্রত্যেকেই বিশ্বমঞ্চে ভারতকে গৌরাবান্বিত করে গিয়েছে। দেশের ঐক্য স্থাপনে ক্রীড়াবিদদের ভূমিকা অপরিসীম। সেই জন্যই হয়তো উত্তর-পূর্বে কোন সফল ক্রীড়াবিদের জন্য উৎসব কেরল এবং লাক্ষাদ্বীপ পুঞ্জে উদযাপিত হয়। তামিলনাড়ুর কোন ক্রীড়াবিদ যখন পদক জেতে তখন লাদাখ পর্যন্ত আনন্দের বন্যা বইতে থাকে। এদিন মহিলা ক্রীড়াবিদদের প্রসঙ্গ আলাদাভাবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ জানিয়েছেন, খেলরত্ন পুরস্কার প্রাপকদের পাঁচজনের মধ্যে তিনজন মহিলা ক্রীড়াবিদ। ভারতের প্রথাগত ক্রীড়া যেরকম কবাডি এবং খো খো ওপর আগামী দিনে আরও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
2020-08-29