এটা কি যুদ্ধের প্রস্তুতি? বুধবার রাত পর্যন্ত এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করল দমদম বিমানবন্দর ও অণ্ডাল বিমানবন্দরের যাত্রীদের মনে৷ কারণ ভারতীয় বায়ুসেনার একাদিক বিমানের ওঠা নামা বেশ উদ্বেগ তৈরি করেছিল৷ শুধু কলকাতা বা অণ্ডাল নয়, ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানের উড়ান দেখা গেল গুয়াহাটি বিমান বন্দরেও৷
পরে অবশ্য সে দ্বন্দ্ব দূর হয়৷ বায়ুসেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিছকই অনুশীলনের জন্য এই তিনটি অসামরিক বিমানবন্দর ব্যবহার করা হয়েছিল৷ দুদিনের মহড়া ছিল এটি৷ পয়লা ও দোসরা মে বায়ুসেনার মহড়া চলে৷ কলকাতা ও গুয়াহাটিতে ফ্রন্টলাইন এসইউ-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমানের মহড়া চলে৷ অন্যদিকে অণ্ডাল বিমানবন্দর থেকে মহড়া দিতে দেখা যায় হক জেটপ্লেনকে৷
দিন রাতের এই মহড়ার জন্য সর্বক্ষণই সচল ছিল এই অসামরিক বিমানবন্দরগুলি৷ তবে বায়ুসেনা সূত্রের খবর রুটিন মহড়া হলেও, যে কোনও পরিস্থিতির জন্য যাতে এই বিমানবন্দরগুলিও তৈরি থাকে এবং ভারতীয় বায়ুসেনা যাতে এই বিমানবন্দরগুলি আপদকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করতে পারে, সেজন্যই এই মহড়া৷
দেশের পশ্চিম ও উত্তর সীমান্তের মতোই এখন সমান গুরুত্ব পাচ্ছে দেশের পূর্ব সীমান্ত৷ অনুপ্রবেশের সংখ্যা বাড়ছে, বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলিও মাথা চাড়া দিচ্ছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর৷ তাই কলকাতা, গুয়াহাটি ও অণ্ডাল বিমানবন্দরকে সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহারযোগ্য করে তোলার কাজ শুরু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷
উল্লেখ্য চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে চলে আসবে রাফায়েল জেট৷ পূর্ব সীমান্তের সমস্যা রুখতে হাসিমারা বেস থেকে রাফায়েলের কার্যকলাপ চালানো হবে বলে প্রাথমিক খবর৷
এর আগে, বায়ুসেনা প্রধান বলেন প্রযুক্তিগত দিক থেকে রাফায়েল জেটের জবাব নেই৷ তাই বালাকোটের আগেই যদি এই জেট বিমান ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে চলে আসত, তাহলে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া আরও সহজ হত৷ ইতিমধ্যেই মিগ-২১, বাইসন, মিরাজ-২০০০ দিয়ে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক পরিচালনা করা হয়৷