করোনা নিয়মবিধি মেনেই বাদল অধিবেশন, পাস হবে ১১টি অর্ডিন্যান্স

সামনেই সংসদের বাদল অধিবেশন। করোনা নিয়মবিধি সম্পূর্ণ ভাবে পালন করেই অধিবেশন বসতে চলেছে। ১৪ই সেপ্টেম্বর থেকে অধিবেশন শুরু হয়ে চলবে পয়লা অক্টোবর পর্যন্ত। তবে এর মাঝে কোনও ছুটি বা বিরতি দেওয়া হবে না অধিবেশনে। মোট ১৮বার অধিবেশন বসবে। দিনের প্রথম চার ঘন্টায় রাজ্য সভা ও পরের চার ঘন্টায় লোকসভার অধিবেশনের কাজ চলবে।

তবে বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন নিয়ম অনুযায়ী লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা আনুষ্ঠানিক ভাবে সদস্যদের কাছ থেকে চেম্বার অন্য কাজে ব্যবহার করার অনুমতি চাইবেন। তাই প্রথম দিনের প্রথম চার ঘন্টায় লোকসভার কাজ চলবে। পরের চার ঘন্টায় হবে রাজ্যসভার কাজ।

ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাতকারে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী জানিয়েছেন এই প্রথম ব্রেকলেস অধিবেশন বা বিরতি হীন অধিবেশন বসতে চলেছে। তিনি বলেন প্রতিদিন মাত্র চার ঘন্টা করে সংসদের দুই কক্ষের কাজ হবে। এরপরে যদি বিরতি বা শনি রবিবার ছুটি থাকে, তবে সাংসদরা ফিরতে চাইবেন নিজের বাড়িতে। যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াবে। এতে সংসদের কাজের সময়সীমাও বাড়াতে হতে পারে। ফলে সংক্রমণের বিপদ থাকছে। তাই বিরতিহীন করা হয়েছে গোটা বাদল অধিবেশনকে।

এই অধিবেশনে মোট ১১টি অর্ডিন্যান্স পেশ করা হতে পারে দুই কক্ষে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক, কৃষি মন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রক, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে এই অর্ডিন্যান্স পেশ করা হবে বলে খবর।

এদিকে, জানা গিয়েছে সাংসদদের বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্য ও বক্তব্য রাখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। থাকছে চারটি বড় স্ক্রিন। গ্যালারিতে থাকছে ছটি ছোট স্ক্রিনের ব্যবস্থা।থাকছে গ্যালারির জন্য থাকছে অডিও কনসোলস, দুটি কক্ষের জন্য স্পেশাল কেবল সংযোগ, যাতে অডিও ভিসুয়াল সিগন্যালের ট্রান্সমিশন সহজে হয়।

অফিসিয়াল গ্যালারি থেকে কক্ষকে আলাদা করার জন্য থাকছে পলিকার্বনেট শিট। এছাড়াও সাংসদদের মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্ব বিধি, চেম্বার ও কক্ষদুটিকে একসঙ্গে ব্যবহার করা এই প্রথম দেখা যাবে পার্লামেন্টে। ১৯৫২ সালের পর প্রথমবার পার্লামেন্টকে এই সাজে দেখা যাবে।

বসার ব্যবস্থাতেও আনা হয়েছে বিশেষ পরিবর্তন। রাজ্য সভার চেম্বার ও গ্যালারি, লোকসভার চেম্বার বাদল অধিবেশনে সাংসদদের বসার জন্য ব্যবহার করা হবে। ৬০জন সদস্য বসবেন চেম্বারে, ৫১ জন বসবেন রাজ্যসভার গ্যালারিতে। প্রথম রো ছেড়ে বসার ব্যবস্থা করা হবে। বাকি ১৩২ জন বসবেন লোকসভা চেম্বারে। প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার দলনেতা, বিরোধী দলনেতা, ও অন্যান্য দলের নেতার জন্য চেয়ার নির্দিষ্ট করা থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.