দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হলেন ৭৭ হাজার ২৬৬ জন। এই সময়ের মৃত্যু হয়েছে ১০৫৭ জনের।
নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যুর জেরে দেশে মোট করোনার প্রকোপও বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশজুড়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ লক্ষ ৮৭ হাজারের বেশি মানুষ। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ৯৪৮ জন। দেশে অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ৭ লক্ষ ৪২ হাজার ২০৩ টি। দেশজুড়ে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৬১ হাজার ৫২৯ জনের।
যতদিন না ভ্যাকসিন না আসছে, ততদিন আপাতত চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করছে সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ব্যাচের উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে রাশিয়া। এই বিষয়ে ভারত-রাশিয়া যোগাযোগে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এছাড়াও ব্রিটিশ ফার্মা সংস্থা ‘অ্যাস্ট্রা জেনেকা’র সঙ্গে যৌথভাবে ভ্যাক্সিন তৈরি করছে ভারতের ‘সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া।’ এছাড়া ভারতের আরও এক সংস্থা ‘ভারত বায়োটেক’ তৈরি করছে ‘কোভ্যাক্সিন।’ তবে ঠিক কবে এই ভ্যাকসিন বাজারে আসবে তা এখনই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে ভয়ের বার্তা শুনিয়েছে এইমস। শুধু ফুসফুস নয়, করোনা মানব দেহের প্রতিটি অংশের বা অঙ্গের নীরবে ক্ষতি করতে পারে। বুধবার এমনই সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এইমস। দিল্লির এইমস জানাচ্ছে এই সব ক্ষতি ভবিষত্যে হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যাও তৈরি করতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী মৃদু, মাঝারি ও জটিল- যে ধরণেরই করোনা পরিস্থিতি হোক না কেন, তাতে শরীরের যেকোনও অংশেই বড় মাপের ক্ষতিসাধন করতে পারে করোনা।
গুলেরিয়া বলেন করোনা নিজের চরিত্র বদলাচ্ছে। প্রতিদিনই কিছু না কিছু নতুন উপসর্গ ধরা পড়ছে। এক এক রোগির এক এক রকম উপসর্গ চোখে পড়ছে। প্রথমে ভাইরাল নিউমোনিয়া ভাবা হয়েছিল একে। পরে তা বিরাট আকার ধারণ করে। তাই এখনও করোনা নিয়ে সমীক্ষার শেষ নেই। শুধু ফুসফুস নয়, দেহের অনেক অংশেই প্রভাব ফেলছে করোনা ও তা দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে।