স্বস্তি দিচ্ছে কলকাতা পুরসভার কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা। সম্প্রতি প্রকাশিত নতুন কনটেইনমেন্ট জোনের তালিকায় শহরে সংক্রমিত এলাকার সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১১ তে। সংক্রমণ রোধে কলকাতা পুরসভার মাইক্রপ্ল্যানিং যে ভালই কাজ করছে তা বলাই বাহুল্য। এদিকে রাজ্যে করোনা সংক্রমনের শীর্ষে কলকাতা থাকলেও বিগত কয়েদিনে সামান্য কমেছে দৈনিক সংক্রমনের সংখ্যা। এই অবস্থায় শহরের কনটেইনমেন্ট জোনের নিম্নমুখী সূচক সাময়িক স্বস্তি দিয়েছে শহরবাসীকে। নবান্ন ও কলকাতা পুরসভার যৌথ প্রকাশিত নতুন তালিকায় দেখা গিয়েছে, কলকাতায় কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা। ১৭ থেকে কমে ১১ এসে দাঁড়াল । নতুন কন্টেইনমেন্ট জোনের তালিকায় চেতলাতে রয়েছে একটি বস্তি । বহুতল রয়েছে তিনটি। এছাড়া মাল্টিপল প্রেমিসেস তিনটি এবং মিক্সড এরিয়া রয়েছে ৪ টি। প্রকাশিত এই তালিকায় দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে তিন নম্বর বরোতে। সেখানে সংক্রমিত এলাকার সংখ্যা তিনটি। পূর্ব কলকাতার বেলেঘাটা এবং ফুলবাগান এলাকা চিন্তা বাড়াচ্ছে। এবং কালীঘাটের নম্বর বরোতেও ৩ টি কন্টেইনমেন্ট জোন।
এছাড়াও ১৬ নম্বর বরোতে দুটি, ৮ নম্বরে দুটি, ৪ নম্বরে একটি কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে। একইসঙ্গে ওয়ার্ড ভিত্তিক কলকাতা পুরসভার ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুটি, ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে দুটি, ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডে দুটি এবং ৭৭ ,২৭,৩১ ,৩৪ এবং ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে একটি করে কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে।
এদিকে,কালীঘাট-চেতলা এলাকায় বাড়ছে কন্টেইনমেন্ট জনসংখ্যা। পুর-প্রশাসক এবং মুখ্যমন্ত্রীর এলাকায় কন্টেইনমেন্ট জোন এর সংখ্যা বাড়ায় উদ্বেগে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মন্ডলী। যদিও পূর্ব কলকাতার সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব কলকাতা অর্থাৎ বাইপাস সংলগ্ন মুকুন্দপুর-পাটুলিতে কন্টেইনমেন্ট জোন এর সংখ্যা বেশি ছিল। সেই সংখ্যা এখন শূন্য। কলকাতা পুরসভার ১২ নম্বর বরোতে এখন আর কোনও কন্টেইনমেন্ট জোন নেই। যা কিছুটা হলেও সাময়িক স্বস্তি দিচ্ছে।
এদিকে,এই রিপোর্ট হাতে আসতেই তৎপর হয় কলকাতা পুরসভা। গার্ড রেল দিয়ে সম্পূর্ণ ঘিরে দেওয়া হয় সংক্রমিত বাড়ি গুলিকে। দিনভর মাইকিংয়ে প্রচার চালায় পুলিশ। পাশাপাশি যে বাড়ি গুলিকে সংক্রমিত আওতাভুক্ত করা হয়েছে সেখানে থেকেও যাতায়াত না করতে পারে তা নিশ্চিত করা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে।