একদিনেই বাংলায় করোনা টেস্ট হল ৪০ হাজারের বেশি৷ সেই তুলনায় আক্রান্ত মাত্র ২,৯৭৪ জন৷ ফের রাজ্যে আক্রান্তের তুলনায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন বেশি মানুষ৷ সুস্থ হয়ে ওঠার হার বেড়ে প্রায় ৮০ শতাংশ৷
বুধবারের রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একদিনেই ৪০ হাজার ৩১ টি টেস্ট হয়েছে৷ প্রতিদিনই বাড়ছে টেস্টের সংখ্যা৷ মঙ্গলবার ছিল ৩৭ হাজার ৫২৪ টি টেস্ট৷ কবে এই পর্যন্ত টেস্টের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ লক্ষ ৭৪ হাজার ১৩৩টি৷ প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় টেস্টের সংখ্যা বেড়ে হল ১৮,৬০১ জন৷
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ৩,৩১৪ জন৷ মঙ্গলবার ছিল ৩,২৫১ জন৷ সোমবার ছিল ৩,২৮৫ জন৷
তবে এই পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৮৫৭ জন৷ মঙ্গলবার এই সংখ্যাটা ছিল ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৫৪৩ জনে৷ সুস্থ হয়ে ওঠার হার বেড়ে হল ৭৯.৭৫ শতাংশ৷ মঙ্গলবার ছিল ৭৯.১০ শতাংশ৷ সোমবার ছিল ৭৮.৪৬ শতাংশ৷ অর্থাৎ প্রতিদিনই বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার৷
অপরদিকে একদিনে আক্রান্ত ২,৯৭৪ জন৷ যা সুস্থ হয়ে উঠার সংখ্যা থেকে কম৷ মঙ্গলবার আক্রান্ত ছিল ২,৯৬৪ জন৷ সোমবার ছিল ২,৯৬৭ জন৷ তবে মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৭৫ জন৷
গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫৫ জনের৷ মঙ্গলবার ছিল ৫৮ জন৷ সোমবার ছিল ৫৭ জন৷ তবে এই পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২,৯৬৪ জন৷
একদিনে ফের কমেছে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা৷ গত ২৪ ঘন্টায় ৩৯৫ জন কমে এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা হল ২৬ হাজার ৯৫৪ জন৷ মঙ্গলবার এই সংখ্যাতা ছিল ২৭ হাজার ৩৪৯ জন৷
যে ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে কলকাতার ১৯ জন৷ উত্তর ২৪ পরগনার ১০ জন৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৬ জন৷ হাওড়া ৭ জন৷ হুগলি ২ জন৷ পূর্ব মেদিনীপুর ১ জন৷ পশ্চিম মেদিনীপুর ২ জন৷ বাকুড়া ২ জন৷ নদিয়া ১ জন৷ দার্জিলিং ৪ জন৷ আলিপুর দুয়ার ১ জন৷
এই মুহূর্তে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে ৭০টি ল্যাবরেটরিতে করোনা টেস্ট হচ্ছে৷ আরও ২ টি ল্যাবরেটরি অপেক্ষায় রয়েছে৷ বাংলায় ৮৭ টি সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন শয্যা তৈরি করা হয়েছে৷ এর মধ্যে সরকারি ৩২ টি হাসপাতাল ও ৫৫ টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে৷ হাসপাতালগুলিতে মোট কোভিড বেড রয়েছে ১২,০৪৫ টি৷ আইসিইউ শয্যা রয়েছে ১,২৪৩টি, ভেন্টিলেশন সুবিধা রয়েছে ৭৯০টি৷ কিন্তু সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার রয়েছে ৫৮২টি৷
মঙ্গলবার রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৪ ঘন্টায় ৩,২৫১ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন৷ অপরদিকে একদিনে আক্রান্ত ছিল ২,৯৬৪ জন৷ যা সুস্থ হয়ে উঠার সংখ্যা থেকেও কম ছিল৷
২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছিল ৫৮ জনের৷ কমেছিল অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যাও৷ একদিনে ৩৪৫ জন কমে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৭ হাজার ৩৪৯ জন৷
যে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল, তাদের মধ্যে কলকাতারছিল ১৬ জন৷ উত্তর ২৪ পরগনার ১৮ জন৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৬ জন৷ হাওড়া ২ জন৷ হুগলি ১ জন৷ পূর্ব বর্ধমান ১ জন৷ পূর্ব মেদিনীপুর ২ জন৷ পশ্চিম মেদিনীপুর ১ জন৷ বাকুড়া ১ জন৷ মালদা ২ জন৷ উত্তর দিনাজপুর ২ জন৷ জলপাইগুড়ি ৩ জন৷ দার্জিলিং ২ জন৷ আলিপুর দুয়ার ১ জন৷