করোনা চিকিৎসায় বেসরকারি হাসপাতালের খরচে লাগাম টানতে স্বাস্থ্য কমিশন৷ তার জন্য জারি হয়েছে নির্দেশিকা৷ কিন্তু কিছু বিষয় আপত্তি করছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি৷ আগামী শুক্রবার স্বাস্থ্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক৷
করোনা চিকিৎসায় ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠে বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে৷ এরপরই রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন একটি নির্দেশিকা জারি করে৷ কিন্তু সেই নির্দেশিকার বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে আপত্তি রয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠন গুলির৷ এমনটাই সূত্রের খবর৷
এমনকি স্বাস্থ্য কমিশনের অ্যাডভাইসরি এখনই মানতে রাজি নয় বেসরকারি হাসপাতাল গুলি৷ এই বিষয়ে আগামী শুক্রবার স্বাস্থ্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসছে বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনগুলি৷
সম্প্রতি স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, করোনা রোগীকে ফেরাতে পারবে না বেসরকারি হাসপাতালগুলি। বেড চার্জও বাড়ানো যাবে না। এমনকী করোনা রোগীদের ওষুধের দামেও ছাড় দিতে হবে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে৷
অভিযোগ,করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার নামে দেদার ব্যবসায় মেতেছে এরাজ্যেরই একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল। করোনা রোগীদের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বসান্ত হচ্ছে তাঁদের পরিবার। লাখ-লাখ টাকার বিল মেটাতে গিয়ে এক রোগী প্রবল দুশ্চিন্তায় আত্মহননের মতো চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
করোনা চিকিৎসায় পাহাড়-প্রমাণ মুনাফা লুঠতে ব্যস্ত এরাজ্যের একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল। শহর কলকাতা থেকে জেলা, ছবিটা একই। গত কয়েকমাসে করোনা রোগের চিকিৎসায় একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভুরি-ভুরি অভিযোগ জমা পড়েছে স্বাস্থ্য কমিশনের কাছে। একের পর এক সেই অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে কমিশন। এরপরই নতুন নির্দেশিকা জারি করে স্বাস্থ্য কমিশন৷
একইসঙ্গে করোনা আক্রান্তের নানারকম পরীক্ষার খরচ এবং সেই খরচের যৌক্তিকতা দেখতেও বিশেষ একটি কমিটি গড়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন।
জানা গিয়েছে,স্বাস্থ্য কমিশন তার নির্দেশিকায় রয়েছে, ১ মার্চ বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে যে বেড চার্জ ছিল বর্তমানেও সেটাই নিতে হবে। করোনা আক্রান্তের পরিবার ইচ্ছা করলে বাইরে থেকেও ওষুধ সংগ্রহ করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল রোগীকে ওষুধ দিলে ১০% ছাড় দিতে হবে।
করোনা আক্রান্তকে যে চিকিৎসক দেখবেন তাঁর ভিজিট এক হাজার টাকার বেশি হবে না। তবে ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে একাধিকবার রোগীকে দেখলে চিকিৎসক অতিরিক্ত এক হাজার টাকা নিতে পারবেন। রোগীর জন্য ব্যবহৃত তুলো, ব্যান্ডেজ, গ্লাভস, পিপিই-সহ অন্যান্য জিনিসেও বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ২০% ছাড় দিতে হবে। এছাড়াও রোগী ও তাঁদের পরিবারের স্বার্থে একাধিক পদক্ষেপ করেছে স্বাস্থ্য কমিশন।