নিয়ম অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যে অন্তত একবার বিধানসভা অধিবেশন ডাকতে হয়৷ সে কথা মাথায় রেখে করোনা বিধি মেনে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে দু’দিনের অধিবেশন বসতে পারে৷ কারণ আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে ৬ মাসের সময়সীমা৷ তবে এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷
গত ১৬ এপ্রিল শেষ হয়েছিল বিধানসভার গ্রীষ্মকালীন অধিবেশন৷ ফলে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে বিধানসভা অধিবেশনের ছয় মাসের সময়সীমা৷ সংবিধানের রীতি অনুযায়ী ৬ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার আগেই বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে হয়৷ যদিও সংসদীয় বিষয়ক দফতর থেকে দিনক্ষন জমা দিতে হয়৷ সেই দিনক্ষন এখনও নির্ধারিত হয়নি৷
এই বিষয় বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি৷ সংসদীয় বিষয়ক দফতর থেকে দিনক্ষন এখনো জমা দেওয়া হয়নি৷ আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷
অন্যদিকে বিধানসভা সূত্রে খবর, বিধানসভার অধিবেশন বসলে, সেক্ষেত্রে বিধানসভা কক্ষে ঢোকবার মুখে বসানো হতে পারে স্যানেটাইজ প্যানেল৷ হাত ধোয়ার পাশাপাশি অধিবেশন চলা কালীন সময়ে মুখে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা হতে পারে৷
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে,বিধানসভা কক্ষে এক সঙ্গে ২৯৪ জন বিধায়ক বসবেন কিভাবে৷
এর আগে রাজ্যপালকে দোষারূপ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছিল বিধানসভার অধিবেশন৷
বিধানসভা সূত্রে খবর ছিল, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল রাজ্যপালের অনুমতির অপেক্ষায় ছিল৷ রাজভবনে সেই বিলগুলো আটকে থাকায় বিধানসভার কার্য-উপদেষ্টা কমিটিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে শীতকালীন অধিবেশন বন্ধ রাখার৷ ২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন শেষ হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু তার আগেই ১১ ডিসেম্বর নজিরবিহীনভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ওই অধিবেশন৷
যদিও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় জানিয়েছিলেন, এসসি-এসটি বিল নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে তাঁর যে চিঠির লেনদেন হয়েছে তা যেন বিধানসভাকে জানান অধ্যক্ষ৷ সেই সময় স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷