টানা ছ’দিন ধরে প্রতিদিন ৮ লাখ স্যাম্পেল পরীক্ষা করা হচ্ছে। ভারতে মোট করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৩.৫২ কোটি। শুধু তাই নয় করোনা পজিটিভ হওয়ার হার একধাক্কায় অনেকটাই কমেছে। টেস্ট বাড়াল ফলে দ্রুত নজরে আসছে তাতেই সাফল্য পেয়েছে ভারত, এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র।
অগাস্ট মাসের ৩-৯ তারিখের মধ্যে প্রতিদিন পজিটিভিটির হার ছিল ৯.৬৭ শতাংশ যা শেষ একসপ্তাহে ৭.৬৭ শতাংশে নেমে এসেছে। এখনও অবধি ৩,৫২,৯২,২২০ স্যাম্পেল টেস্ট করা হয়েছে। শনিবার ৮,০১,১৪৭ স্যাম্পেলের পরীক্ষা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, সব জায়গাকে আলাদা আলাদা করে নজরে রেখে বাড়ানো হয়েছে পরীক্ষা। গণহারে পরীক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছে কেন্দ্র।
“শেষ তিন সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন টেস্ট বেড়ে যাওয়ায় গোটা দেশেই পরীক্ষা বাড়ানো হয়েছে সে ছবি স্পষ্ট। প্রতিদিন প্রচুর পরীক্ষা হওয়ার পরেই করোনা পজিটিভ হওয়ার গড় হার কমেছে”, এমন তথ্যই দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
ফোকাস টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিট। এই নীতি ধরেই প্রতি এক মিলিয়ন জনসংখ্যায় টেস্ট বেড়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, “পরীক্ষা, দ্রুত পদক্ষেপ এবং সঠিক পর্যবেক্ষণের ও চিকিৎসার মাধ্যমে ও হোম আইসোলেশনে এবং মেডিক্যাল কেয়ার এবং সঠিক সময়ে সিদ্ধান্তের দ্বারা শেষ ২১ দিনে সুস্থ হওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে”।
প্রতিদিন করোনা পরীক্ষা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। শেষ তিন সপ্তাহের গড় পরীক্ষার হার করোনা পরিস্থিতির উন্নতি দেখিয়েছে, দেশের সবপ্রান্তে এই উন্নতি হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি, পুণের ল্যাবরেটরি এবং অন্যান্য ১০০টি ল্যাবে পরীক্ষা শুরু করে আরও দ্রুত হয়েছে পদ্ধতি, জুন মাসের ২৩ তারিখ অবধি ১০০০ টেস্টিং ল্যাবকে অনুমোদন দিয়েছে আইসিএমআর। দেশে মোট কোভিড টেস্টের সরকারি ল্যাবরেটারির সংখ্যা ১৪৭০, প্রাইভেট ল্যাব ৫০১, এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।
পাশাপাশি অক্সফোর্ডের করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের ফলাফল কয়েক মাসের মধ্যে প্রকাশ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্রিটেনের ভ্যাকসিন টাস্কফোর্সের প্রধান কেট বিঙ্গহাম জানিয়েছেন, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং জার্মানির করোনার ভ্যাকসিন এই বছরের শেষে প্রস্তুত হতে পারে।https://bedb81bfb7698accb08dbd1f1288adc5.safeframe.googlesyndication.com/safeframe/1-0-37/html/container.html
সব মিলিয়ে টেস্ট বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাইরাস তাড়াতাড়ি ডিটেক্ট করা সম্ভব হচ্ছে বলেও মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষা, চিকিৎসা সবদিকে দ্রুত সফল হচ্ছে ভারত। চিকিৎসা পরিকাঠামোতে জোর দিয়ে গতমাস থেকেই বাড়ছে সুস্থতার হার।
দেশে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ফের শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হলেন ৬৯ হাজার ২৩৯ জন। এই সময়ের মধ্যে দেশজুড়ে মৃত্যু হয়েছে ৯১২ জনের। নতুন করে সংক্রমণের জেরে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ লক্ষ ৪৪ হাজার ৯৪১ এ। এরমধ্যে ৭ লক্ষ ৭ হাজারেরও বেশি অ্যাক্টিভ কেস। সারা দেশে করোনাকে হারিয়ে মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২২ লক্ষ ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ। দেশজুড়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ৫৬ হাজার ৭০৬ জনের।