দু’বছর আগে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন। ফাইনালে হারিয়েছেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে (Pakistan)। তাও আবার ৩০৮ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করে। দলের জয়ের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও ছিল নরেশ তুম্বারের। দৃষ্টিহীনদের বিশ্বকাপ (Blind World Cup 2018) হলেও দেশে ফিরে পেয়েছিলেন প্রচুর সংবর্ধনা, অভ্যর্থনা। কিন্তু শেষপর্যন্ত জোটেনি একটিও চাকরি। পাননি সরকারি সহায়তা। এমনকী বর্তমানে আর্থিক অবস্থাও খারাপ। আর তাই করোনা আবহেই পাঁচ জনের সংসার চালাতে আমেদাবাদের জামালপুর বাজারে বসে সবজি বিক্রি করছেন বিশ্বকাপজয়ী নরেশ। তাঁর আক্ষেপ, ধোনিরা (Mahendra Singh Dhoni) বিশ্বকাপ জিতলে টাকা পায়, কিন্তু দৃষ্টিহীন ক্রিকেটারদের দিকে কেউই নজর দেয় না।
২০১৮ সালের ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত ভারত-পাকিস্তান বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ৩০৭ রান তুলেছিল পাকিস্তান। জবাবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় টিম ইন্ডিয়া। মনে রাখার মতো ইনিংস খেলেছিলেন নরেশ। এরপর দেশে ফিরে হাজারো সংবর্ধনা, প্রতিশ্রুতি–সবই ছিল। কিন্তু কোনওদিনও সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। আর তাই ২৯ বছর বয়সি নরেশের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে ওঠে অর্থাভাব। প্রথমদিকে দিনমজুরের কাজ করলেও করোনা পরিস্থিতিতে তাও বন্ধ হয়ে যায়। শেষে নিরুপায় হয়ে সংসার চালাতে সবজি বিক্রি করতে শুরু করেন নরেশ। জামালপুর মার্কেটে সবজি বিক্রি করেই পাঁচজনের সংসার চালাচ্ছেন তিনি। তবু আক্ষেপ, বিশ্বকাপ জিতলেও একটাও চাকরি জুটল না।
এই প্রসঙ্গে নরেশের আক্ষেপ, ‘‘ধোনিরা বিশ্বকাপ জিতলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার কত সম্মান দিয়েছিল। আর্থিক পুরস্কারও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমাদের মতো দৃষ্টিহীন ক্রিকেটারদের জন্য কিছুই করা হয়নি। এমনকী আমরা আর্থিক অনুদানও পাইনি। দৃষ্টিহীন বলেই কি আমাদের সঙ্গে এরকম ব্যবহার? সমাজের উচিত আমাদেরও সমান নজরে দেখা।’’