আশার খবর শোনালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, বিশ্বে সর্বাপেক্ষা ভালো আরোগ্যের হার ভারতে। দেশের ৭৫ শতাংশ করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছে। এদিন তিনি জানান, দেশের করোনা রোগীর মৃত্যুর হারও নেমে এসেছে ১.৮৭ শতাংশ, যা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যান এক বিরাট সাফল্য। করোনা নিয়ে তাই অযথা আতঙ্ক না করার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। গত কয়েকদিন ধরেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকার টেস্টের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিল। সেইমত প্রত্যেকদিনই টেস্ট হচ্ছে বহু মানুষের। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
শনিবারের হিসেব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯,৮৭৮। আক্রান্তের সংখ্যায় ফের রেকর্ড ভারতের। এর আগে একদিনে এত বেশি আক্রান্তের রেকর্ড ছিল না ভারতে। শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হয়ে দাঁড়াল ২৯ লক্ষ ৭৫ হাজার ৭০১। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ২২.২২ লক্ষ মানুষ। শনিবার পর্যন্ত দেশ জুড়ে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা মোট ৫৫,৭৯৪। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৯৪৫ জনের।
আমেরিকা ও ব্রাজিলের পরই সবথাধিক আক্রান্তের সংখ্যা ভারতে। গত ১৮ দিন ধরে বিশ্বে সর্বাধিক আক্রান্তের রেকর্ড তৈরি করছে ভারত, যা রীতিমত উদ্বেগের। দেশের যে পাঁচটি জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি সেগুলি হল তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক ও উত্তরপ্রদেশ।
তবে এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনায় যে মৃত্যুগুলি হচ্ছে, তার বেশিরভাগই কোমর্বিডিটি। হর্ষ বর্ধনের মতে প্রায় ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রেই এই বিষয়টি ফ্যাক্টর হয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই পরিসংখ্যানকে সমর্থন করেছে আইসিএমআরও।
এদিকে, আইসিএমআর জানিয়েছে, লালারসের নমুনা সংগ্রহ না করেও করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব। গার্গল করা জলেই নাকি ধাকে ভাইরাসের উপস্থিতি। ফলে সেই জল পরীক্ষা করলেই সমাধান মিলতে পারে। লালারসের নমুনা এই পদ্ধতিতে নিজেই টেস্টিংয়ের জন্য দেওয়া যেতে পারে। এতে স্বাস্থ্যকর্মীর প্রয়োজন হবে না।
এরফলে স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপিই কিট পরে আর নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে লালারস সংগ্রহ করতে হবে না। যে নিজেকে করোনা আক্রান্ত বলে সন্দেহ করছে, সে নিজেই গার্গেল করার সময় তার গার্গল করা জল আলাদা করে রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রে দিয়ে আসতে পারবেন। এর ফলে পরীক্ষা পদ্ধতি আরও সহজ হবে ও কম খরচে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।