কোভিড-১৯ সংক্রমণে ফের রেকর্ড গড়ল ভারত, একলাফে অনেকটাই বাড়ল মৃত্যুর সংখ্যা। বাড়তে বাড়তে শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ২৯,৭৫,৭০২-এ পৌঁছে গেল। ভারতে বিগত ২৪ ঘন্টায় (শুক্রবার সারাদিনে) নতুন করে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৯৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শেষ ২৪ ঘন্টায় ভারতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৯,৮৭৮ জন। শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫৫,৭৯৪ জন এবং মোট সংক্রমিত ২৯,৭৫,৭০২ জন। এখনও পর্যন্ত করোনা-মুক্ত হয়েছেন ২২,২২,৫৭৮ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৯৭ হাজার ৩৩০।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক বুলেটিনে জানিয়েছে, ৫৫,৭৯৪ জনের মধ্যে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশে ৩,০৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশে ৫ জন, অসমে ২২৭ জন, বিহারে ৪৯৮ জনের, চন্ডীগড়ে ৩৩ জন, ছত্তিশগড়ে ১৮০ জন, দাদর ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে, দিল্লিতে মৃত্যু হয়েছে ৪,২৭০ জনের, গোয়া ১৩৫ জন, গুজরাটে ২,৮৬৭ জনের, হরিয়ানায় ৫৮৫ জনের, হিমাচল প্রদেশে ২৫ জনের, জম্মু-কাশ্মীরে ৫৯৩ জনের, ঝাড়খণ্ডে ২৯৭ জনের, কর্ণাটকে ৪,৫২২ জন প্রাণ হারিয়েছেন, কেরলে ২০৩ জন, লাদাখে ১৯ জন, মধ্যপ্রদেশে ১,১৮৫ জন, মহারাষ্ট্রে ২১,৬৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, মণিপুরে ২০ জন, মেঘালয়ে ৬ জন, নাগাল্যান্ডে ৮ জন, ওডিশায় ৩৯০ জনের, পুদুচেরিতে ১৪৩ জন, পঞ্জাবে ৯৯১ জন, রাজস্থানে ৯৩৩ জনের, সিকিমে ৩ জন, তামিলনাড়ুতে ৬,৩৪০ জন, তেলেঙ্গানায় ৭৪৪ জন, ত্রিপুরায় ৭০ জন, উত্তরাখণ্ডে ১৯২ জন, উত্তর প্রদেশে ২,৭৯৭ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে ২,৬৮৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক বুলেটিনে জানিয়েছে, ভারতে এই মুহূর্তে মৃত্যু হয়েছে ১.৮৭ শতাংশ মানুষের, সুস্থ হয়েছেন ৭৪.৬৯ শতাংশ মানুষ এবং চিকিৎসাধীন ২৩.৪৩ শতাংশ মানুষ। ভারতে প্রতিদিনই দ্রুততার সঙ্গে বেড়েই চলেছে কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, দৈনিক কোভিড-১৯ পরীক্ষায় ১০ লক্ষের মাইলফলক অতিক্রম করেছে ভারত। ২১ আগস্ট পর্যন্ত ভারতে মোট ৩,৪৪,৯১,০৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনিবার সকালে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, শুধুমাত্র ২১ আগস্ট সারাদিনে ১০,২৩,৮৩৬টি স্যাম্পেল টেস্ট করা হয়েছে।