ফের নৃশংসভাবে পশুহত্যার ঘটনা কেরলে। ঈশ্বরের আপন দেশে বারবার পাশবিক ঘটনার সাক্ষী থাকছেন মানুষ। এবার মানুষরূপী ‘জন্তু’র শিকার এক গর্ভবতী বাইসন। বাইসনটিকে মেরে তাঁর মাংস দিয়ে উদরপূর্তি করার অভিযোগে কেরলের মলপ্পুরম জেলায় ছ’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুঞ্চা জঙ্গল এলাকায় গত ১০ আগস্ট পুলিশ হানা দিয়ে একজনের বাড়ি থেকে বাইসনের ২৫ কেজি মাংস উদ্ধার করে। বাইসনের হাড়গোড় ও অবশিষ্টাংশ দেখে পুলিশের অনুমান, প্রাণীটি অন্তঃসত্ত্বা ছিল।
কয়েক মাস আগে এক অন্তঃসত্ত্বা হাতি খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। বাজিভরতি আনারস খেয়ে বিস্ফোরণে উড়ে যায় হাতিটির মুখ। গর্ভস্থ শাবক-সহ মৃত্যু হয় হস্তিনীর। আবার সেই কেরলেই নৃশংসভাবে পশুহত্যার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইসনের গর্ভস্থ ভ্রুণও টুকরো টুকরো করে কাটে দুষ্কৃতীরা। জঙ্গলে গুলি করে প্রথমে বাইসনটিকে মারা হয়। তারপর শিকারের অস্ত্র, বাইসনের হাড়গোড় ও অবশিষ্টাংশ জঙ্গলেই ফেলে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। অন্তত ২০০ কেজি মাংস ভাগাভাগি করে তারা।
ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষুব্ধ পশুপ্রেমীরা। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, লকডাউনের মধ্যে দেশে পশুর উপর হিংসার ঘটনা অনেক গুণ বেড়েছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন বনমন্ত্রক ও পশুপ্রেমীরা। অন্তঃসত্ত্বা হস্তিনী হত্যা থেকে বাইসন, বারবার কেরল নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকছে। আগেও মলপ্পুরম জেলার নাম শিরোনামে এসেছে প্রাণীহত্যার ঘটনায়। আবারও সেই মলপ্পুরমেই নৃশংস কাণ্ডে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।