নিজ দেশে নিজ সমর্থকদের আইনসভায় হামলা রক্তাক্ত পরিস্থিতি নিয়ে প্রবল বিতর্কে ক্ষমতার শেষ কিছু সময় কাটাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এবার এলো আরেক বিপত্তি। ঠিক যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এমনই প্রবাদ বাক্য খেটে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ঘিরে। ইরাকে জারি হলো তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা।

এমনিতেই ক্ষমতায় থাকা বাকি অল্প সময়। এরপর কোনোদিন ইরাক গেলে সোজা জেলখানার দরজা খুলবে। গত বছর ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন বিমান হামলায় মৃত্যু হয় ইরানের চর্চিত লেফটেন্যান্ট জ কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকি কমান্ডার আবু মাহদি আল মুহানদিস সহ ১০ জন। এর পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তিনি নিজে এই হামলার নিদের্শ দিয়েছিলেন।

এর জেরে পুরো মধ্যপ্রাচ্য হয় সরগরম। এমনকি ইরান সরকার হুঁশিয়ারি দেয় বদলার। বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকরা নির্বাতচনের পরাজয় মানতে না পেরে আমেরিকার আইনসভায় হামলা চালায়। রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, কার্ফু চলছে রাজধানী ওয়াশিংটনে।

বিশ্ব জুড়ে সমালোচিত ট্রাম্প। এর মাঝে ইরাকে জারি হয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা। বাগদাদের বিশেষ আদালত এক বিবৃতিতে বলেছে, সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ট্রাম্পকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষ হয়েছে।

ইরাকের আদালত বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য সবাইকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে। দেশি-বিদেশি যারাই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে। তবে আগেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ইরান সরকার। ইরাকে সাদ্দাম হোসেন জমানার পতন হয়েছিল মার্কিন সেনা অভিযানে। সাদ্দাম কে ফাঁসি দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত ইরাকের ‘পুতুল সরকার’।

সেই ইরাকেই এখন গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলো মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে ক্ষমতার শেষ কয়েকটি মুহূর্তে এটাও বড় আঘাত ট্রাম্পের জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.