এক বা দু’মাস নয়, দশ বছর আগেই প্রয়াত হয়েছিলেন মা। কিন্তু এতদিন কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। কারণ মায়ের মৃতদেহ ফ্রিজের মধ্যে ঢুকিয়ে রেখেছিলেন মেয়ে! হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও জাপানের (Japan) রাজধানী টোকিওতেই (Tokyo) ঘটেছে এই ঘটনা। সেদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আর যে কারণে ৪৮ বছরের মহিলা মায়ের মৃতদেহ এভাবে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলেন, সেটি আরও অবাক করেছে।
জানা গিয়েছে, ইউমি ইয়োসিনহো নামে ওই মহিলা নিজের মায়ের সঙ্গে টোকিওতেই একটি মিউনিসিপ্যাল অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন। সেটি আসলে তাঁর মায়ের নামেই সরকারের থেকে লিজ নেওয়া ছিল। এ জন্য প্রতি মাসে ভাড়াও গুনতে হত। কিন্তু গত কয়েকমাসে সেই বাড়ি ভাড়া দিতে পারেননি ইউমি। এরপরই তাঁকে ওই অ্যাপার্টমেন্ট ছাড়তে বলা হয়। জানুয়ারির মাঝামাঝিতে তাই অ্যাপার্টমেন্টটি ছেড়েও দেন ইউমি। এরপর গত বুধবার এক সাফাইকর্মী ওই অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করেন। কিন্তু ফ্রিজ খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ! সেখানেই রাখা এক মহিলার মৃতদেহ। ওই সাফাইকর্মীই পুলিশে খবর দেন। তদন্তের পর জানা যায়, মৃতদেহটি ইউমির মায়ের। এরপরই সন্দেহের কারণে ইউমিকে আটক করে পুলিশ।
তাঁকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্যটি সামনে আসে। ইউমি জানায়, অ্যাপার্টমেন্টটি তাঁর মায়ের নামে নেওয়া। দশ বছর আগে তাঁর মা মারা গিয়েছেন। কিন্তু অ্যাপার্টমেন্ট খালি করতে হবে বা তাঁকে হয়তো বের করে দেওয়া হবে, এই ভয়ে তিনি কাউকে কিছুই জানাননি। মায়ের মৃতদেহটি পচে গিয়ে যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায় সেজন্য সেটি ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছিলেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মৃত্যুর সময় ওই মহিলার বয়স ছিল ৬০ বছর। তবে এতদিন পর ময়নাতদন্ত করলে মৃত্যুর কারণ বা সঠিক সময় কখনওই জানা সম্ভব নয়। পুলিশ তাই এই রহস্য ভেদ করতে আটক যুবতীকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে। স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে? তাও খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।