সর্বনাশের অন্তিম স্তরে পৌঁছে গেছে পাকিস্থান, আর্থিক সংকটের কারণে হাহাকার শুরু পাকিস্থান। বিগত কিছু সময় থেকেই পাকিস্থানের আর্থিক মন্দার খবর সামনে আসছে। ইমরান খানের সরকার নানাভাবে অর্থ অর্জন করার চেষ্টায় নেমে পড়েছে। একদিকে চীনকে গাধা সাপ্লাই করে তো অন্যদিকে মোষ বিক্রি করে দেশের অর্থনীতি শোধরানোর চেষ্টা করছে পাক সরকার। ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি এবং ব্যাবসা ক্ষেত্রে ক্ষতি হওয়ার কারণে পাকিস্থানের অর্থনীতি পুরো ভেঙে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্থানের খাইবার-পাখতুন বিধানসভা স্পীকার মুস্তাক গানির এক মন্তব্য চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মিট দি প্রেস নামক এক অনুষ্ঠানে মুস্তাক গানি পাকিস্থানের জনগণকে ২টি রুটির বদলে একটা রুটি খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। মুস্তাক গানি বলেছেন, দেশের আর্থিক সংকটে জনগণের উচিত ২ টি রুটির বদলে ১ টা রুটি খাওয়া। উনি মিডিয়ার সামনেই বলেন, এখন ২ টির পরিবর্তে ১ টি রুটি খান। কিন্তু ইনশাল্লাহ, আল্লাহ এমন দিন আনবে যখন ২ টির বদলে আপনারা আড়াইটি রুটি খেতে পারবেন।
আর্থিক মন্দা পাকিস্থানকে এমনভাবে গ্রাস করেছে যে, পুরো বিশ্বের কাছে ভিক্ষা চাইছে পাকিস্থান। একইসাথে পাকিস্থানের মন্ত্রী জনগণকে দিনে ১ টি রুটি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। সৌদি আরবের প্রিন্স মহম্মদ বিন সালমান পাকিস্থানকে চাঁদা দিয়ে কিছু সাহায্য করার চেষ্টা করেন। রবিবার দিন সৌদি আরব ও পাকিস্থানের মধ্যে ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার বিষয়ে হস্তাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। তবে সেটা কতটা বাস্তবায়ন হবে সেটা নিয়ে অনেকে সন্দেহ প্ৰকাশ করেছেন।
পাকিস্থান তাদের বেশিরভাগ অর্থ তাদের সেনা এবং জিহাদের কাজে লাগিয়ে দেয়।যার জন্য পাকিস্থানের এই দুর্দশা শুরু হয়েছে। গাজবা-এ-হিন্দ অর্থাৎ ভারতকে ইসলামিক দেশ করার জন্য পাকিস্তান তার প্রচুর অর্থ খরচ করে দেয়। পাকিস্থানের ধারণা যে, ভারতকে ইসলামিকরণ করার নির্দেশ আল্লাহ দিয়েছে। তাই যত রকম জিহাদের মাধ্যমে হোক ভারতকে ইসলামের কব্জায় আনা।
জানিয়ে দি, পাকিস্থান দেশের সৃষ্টি এই ধারণার উপর ভিত্তি করেই হয়েছে। এমনকি কাশ্মীরে যে জিহাদ হয় সেটাও গাজবা-এ-হিন্দ এর একটা অংশ মাত্র। ছোট বড় জিহাদের মাধ্যমে ভারতের ইসলামিকরন মূল্য পাকিস্থানের। এই ধারণার কারণেই পাকিস্থানে হিন্দুদের হয় মেরে ফেলা হয় নতুবা ধর্মান্তরিত করা হয়। আর এমন ভ্রান্ত ধারণা মাথায় পুষে রাখার জন্যই পাকিস্থানের এই দুর্দশা।