ভারত-চিন (India-China) সীমান্ত হিসেবে যা গণ্য হয়, লাদাখে সেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি) এখন তপ্ত। ভারত ও চিন সৈন্য সংখ্যা দ্রুত বাড়াচ্ছে সংঘাতের ভরকেন্দ্রে। ভারত-চিন সীমান্তে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা মেটাতে আগ্রহী রয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মধ্যস্থতা করারও প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী, লাদাখ নিয়ে মোদী-ট্রাম্পের মধ্যে কোনও আলোচনাই হয়নি।
সূত্র মারফত শুক্রবার জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে কোনও কথা হয়নি। তাঁদের শেষ কথা হয় ২০২০ সালের ৪ এপ্রিল হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিয়ে, বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রক এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে কূটনৈতিক মাধ্যমে চিনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কে রয়েছে ভারত।
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই প্রথমে লাদাখে এবং পরে উত্তর সিকিমের নাকু লা অঞ্চলে হাতাহাতিতে জড়িয়েছিল ভারত ও চিনের বাহিনী। তার পরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় এলএসি বরাবর চিন বিপুল সৈন্য সমাবেশ শুরু করার পরে। চিন বাহিনী বাড়াচ্ছে দেখে ভারতও পাল্টা সেনা সমাবেশ শুরু করেছে গালওয়ান উপত্যকায়। সম্প্রতি উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায়, তিব্বতের এক বিমানঘাঁটিতে দ্রুত পরিকাঠামো বাড়াচ্ছে চিন। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর এলএসিতে যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিনধেই সর্বোচ্চ পর্যায়ের সামরিক কর্তাদের ডেকে বৈঠক করেন। চিনের প্রেসিডেন্টও নিজের বাহিনীকে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দেন।