পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় অচলাবস্থার অবসানের লক্ষ্য নিয়ে রবিবার নবম বারের জন্য আলোচনায় বসছে ভারত ও চিনের সামরিক আধিকারিকরা। ভারতের চুশুল সেক্টরের বিপরীতে মোল্ডোতে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই বৈঠকে সেনা পর্যায়ের একধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক ছাড়াও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বিদেশ মন্ত্রকেরও এক আধিকারিকের। যা নিয়ে চড়ছে আশা-আশঙ্কার পারদ। এবারের বৈঠকে আদৌ সীমান্ত বিবাদের নিষ্পত্তি হয় কিনা, সে দিকেই নজর কূটনৈতিক মহলের।
প্রায় ন’মাস ধরে দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা এবং অস্থিরতা বাড়ার একাধিক উদাহরণ উঠে এসেছে। বর্তামন পরিস্থিতিতে পূর্ব লাদাখের পাহাড়ি এলাকাগুলিতেগুলিতে প্রায় ৫০ হাজার ভারতীয় সেনা মোতায়েন রয়েছে। কারণ, গত বছরের জুন মাসের সংঘর্ষের পর থেকে একাধিক বারের বৈঠকেও কোনো স্থানীয় সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি বলে দাবি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, সীমান্ত এলাকায় প্রায় সমান সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে চিন। এই অসবস্থায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় অচলাবস্থার অবসানের লক্ষ্য নিয়ে আলোচনায় বসছে ভারত ও চিনের সামরিক আধিকারিকরা ।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর শেষবার নভেম্বরে ভারতের সঙ্গে বৈঠকে বসে চিন। সেইবার ‘আট নম্বর ফিঙ্গার’ এলাকায় সেনা সরানোর প্রস্তাব দেয় বেজিং। সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে সহমত হয় নয়াদিল্লি। কিন্তু চিনা আগ্রাসন তারপরেও বজায় থাকায় ক্রমেই বাড়তে থাকে জটিলতা। এমতাবস্থায় সীমান্ত-জট কাটাতে প্রায় আড়াই মাস পরে আজ ফের আলোচনার টেবিলে ভারত ও চিনা সেনা।
এদিকে এদিনের বৈঠকের আগেই সীমান্ত ইস্যুতে চিনকে বারংবার কড়া ভাষায় বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রাজনাথ সিং স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, চিন যত দিন না সেনা সরাবে, ভারতও এলএসি থেকে সেনা সরাবে না। হুশিয়ারী দিতে দেখা গিয়েছে সেনা প্রধান এম এম নারাভানেকেও। আলোচনার মাধ্যেই ভারত পূর্ব লাদাখে অচলাবস্থা কাটাতে বদ্ধপরিকর বলেও জানান তিনি। এই ক্ষেত্রে ভারতের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নেওয়ার মত ভুল যাতে বেজিং না করে তাও মনে করিয়ে দেন তিনি।