২০২১ সালের এই বিশ্বে কেউ কার্বনমুক্ত পরিবেশের কথা ভাবতে পারেন? সত্য়ি বলতে এর কল্পনাও করা বেশ কঠিন। অসাধ্যও বটে। কিন্তু এই অসাধ্য সাধন করার অঙ্গিকার করল জার্মানি (Germany)। ২০৪৫ সালের মধ্যে কার্বনমুক্ত হবার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা স্থির করল জার্মানি। জার্মান সংসদে এই নিয়ে অনুমোদনও পাশ হয়।
কিন্তু চারিদিকে যেভাবে যানবাহন, কলকারখানা, পেট্রোল, ডিজেল কয়লার ব্যবহার হচ্ছে, তাতে কিভাবে এই কার্বনমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব? এবিষয়ে জার্মানির পরিবেশমন্ত্রী স্ভেনিয়া শুলৎসে বলেন, পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি ও অবকাঠামোর আধুনিকীকরণের মাধ্যমে ধাপে ধাপে জার্মানিকে ‘কার্বন নিউট্রাল’ (Carbon Neutral) করতে হবে। তিনি এও বলেন, অর্থনীতি ও গতিশীলতার ক্ষেত্রে সাফল্য বজায় রেখেই এই লক্ষ্য পূরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, জার্মানির মন্ত্রিসভার পর এবার সংসদের নিম্ন কক্ষও ২০৪৫ সালের মধ্যে দেশকে পুরোপুরি কার্বনমুক্ত করার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করল। তবে ২০৪৫ পর্যন্ত সময় তারা নিতে চায় না। জানা গিয়েছে, মূল লক্ষ্যমাত্রায় পাঁচ বছর আগেই এই অসাধ্যসাধন করতে চায় জার্মানি।
এই নতুন আইনের আওতায় প্রতি পাঁচ বছরের জন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হবে। শুধু তাই নয়, ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন কমপক্ষে ৬৫ শতাংশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৮৮ শতাংশ কার্বন নির্গমন কমাতে হবে। আর এই লক্ষমাত্রা সফল হলে, তবেই ২০৪৫ সালের মধ্যে ‘কার্বন নিউট্রাল’ অথবা কার্বনমুক্ত পরিবেশ হওয়া সম্ভব।
সংসদে বিতর্কের সময় এবিষয়ে জার্মানির পরিবেশমন্ত্রী মুখ খোলেন। তিনি বলেন, এই লক্ষ্য পূরণ করা হবে অর্থনীতি ও গতিশীলতার ক্ষেত্রে সাফল্য বজায় রেখে। তাঁর মতে, পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি ও অবকাঠামোর আধুনিকীকরণের মাধ্যমে ধাপে ধাপে জার্মানিকে ‘কার্বন নিউট্রাল’ করতে হবে।
বিভিন্ন মহলের দাবি, ব্রিটেনের গ্লাসগো শহরে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের আগে এমন সিদ্ধান্তের কিন্তু যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। তাছাড়া সে দেশের সাধারণ নির্বাচনের আগে এমন গুরুত্বপূর্ণ আইন আন্তর্জাতিক স্তরেও ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে অনেকে মনে করছেন।