অসম যখন তাঁর ‘হার্টথ্রব’ জুবিন গর্গের (Zubeen Garg) মৃত্যুতে শোকাহত, তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় গায়কের সিঙ্গাপুরে বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে সাঁতার কাটার আরেকটি ভিডিয়ো ভাইরাল নেটপাড়ায়। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, অত্যন্ত ক্লান্ত জুবিন শ্বাস নিতে এবং ভেসে থাকতে রীতিমতো লড়াই করছেন।
জুবিনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার কয়েকদিন পর, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও সামনে আসে, যেখানে তাকে একটি ক্রুজ পার্টিতে লাইফ জ্যাকেট পরে সমুদ্রে ঝাঁপ দিতে এবং আনন্দ করতে দেখা যায়। এবার একটি নতুন ভিডিও সামনে এসেছে। এই ভিডিওতে জুবিনকে লাইফ জ্যাকেট ছাড়া দেখা যাচ্ছে। গায়ককে তাঁর বন্ধুদের পাশে সাঁতার কাটতে দেখা যাচ্ছে এবং তাঁকে ক্লান্ত দেখাচ্ছে। তিনি শ্বাসকষ্টেও ভুগছেন বলে মনে হচ্ছে, সেইসময় তিনি একটি ইয়টে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। একপর্যায়ে তাঁর ভেসে থাকতেও অসুবিধা হচ্ছিল, যার কারণে তাঁর বন্ধুরা দ্রুত এগিয়ে এসে তাঁকে সাহায্য করেন
এই ভিডিওটি ঠিক কোনসময়ে তোলা, এখনও স্পষ্ট নয় এবং জি ২৪ ঘণ্টা ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। তবে, এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এবং অসম জুড়ে ভক্তরা তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন। জানাা যায় যে, জুবিন প্রথমে লাইফ জ্যাকেট পরে সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়েছিলেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই ফিরে এসে অস্বস্তির কারণে সেটি খুলে ফেলেন। এরপর তিনি লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই আবার ঝাঁপ দেন এবং এই দ্বিতীয়বার সাঁতার কাটার সময়েই তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
প্রসঙ্গত, ১৯শে সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে কয়েকজন বন্ধু ও সহকর্মীর সঙ্গে সমুদ্রে সাঁতার কাটার সময় জুবিন গর্গ মারা যান। রবিবার তাঁর মরদেহ গুয়াহাটিতে এসে পৌঁছায়। ২৪শে সেপ্টেম্বর শহরের উপকণ্ঠে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। নর্থ ইস্ট ফেস্টিভ্যালে অংশ নিতে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি। এটি একটি বার্ষিক ইভেন্ট যা বিদেশে এই অঞ্চলের সংস্কৃতি তুলে ধরে। কেউ কেউ বলছেন, তিনি মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষের দেওয়া মৃত্যু শংসাপত্রে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘জলে ডোবা’ উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর নিজ রাজ্যে অনেকে এই মৃত্যুর সঙ্গে অবহেলা, কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র বা খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে নানা জল্পনা ও অভিযোগ তুলেছেন। সিঙ্গাপুরে করা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। ৫২ বছর বয়সী এই শিল্পীর শেষকৃত্য গুয়াহাটি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে সোনাপুরের কামারকুচিতে একটি বিশেষভাবে নির্ধারিত জায়গায় সম্পন্ন হয়, যা পরে অসম সরকার একটি স্মৃতিসৌধে রূপান্তরিত করবে। অসমের এই কিংবদন্তির জন্মস্থান জোরহাটে, যা গুয়াহাটি থেকে ৩০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত, সেখানে আরেকটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে।