বাগ্বিতণ্ডার পরে ক্ষমা চেয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি পাঠিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি! এমনটাই জানিয়েছেন পশ্চিম এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাম্পের বিশেষ কূটনীতিক স্টিভ উইটকফ। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে দুই রাষ্ট্রনেতার প্রকাশ্য বাগ্বিতণ্ডার পরে ফের আলোচনার টেবিলে বসতে চলেছে আমেরিকা এবং ইউক্রেন। ট্রাম্প এবং জ়েলেনস্কির প্রশাসনের মধ্যে এ বার বৈঠক হবে তৃতীয় একটি দেশ সৌদি আরবে। ওই বৈঠকের ঠিক আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ়’-কে উইটকফ জানালেন ক্ষমা চেয়ে জ়েলেনস্কির চিঠি পাঠানোর কথা।
ওভাল অফিসে দুই রাষ্ট্রনেতার দৃশ্যত নজিরবিহীন বিতণ্ডা নিয়ে আগেই মুখ খুলেছেন জ়েলেনস্কি। সমাজমাধ্যমে এ বিষয়ে দুঃখপ্রকাশও করেন তিনি। জ়েলেনস্কি জানান, বেনজির তর্কাতর্কির ঘটনায় তিনি ‘অনুতপ্ত’। যদিও সমাজমাধ্যমের ওই পোস্টে ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ ছিল না। পরে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ট্রাম্পের ভাষণের সময়েও ওই বাগ্যুদ্ধের কথা উঠে আসে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির থেকে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ চিঠি’ পেয়েছেন। ট্রাম্প আরও জানান, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে আলোচনার টেবিলেও বসতে আগ্রহী হয়েছেন জ়েলেনস্কি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট চিঠিতে সেই কথা উল্লেখ করেছেন বলে দাবি ট্রাম্পের। ওই চিঠির অংশবিশেষ মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে পড়েও শোনান তিনি। তবে ওই সময়ে চিঠিতে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসেনি।
সোমবার ট্রাম্পের কূটনীতিক উইটকফ ‘ফক্স নিউজ়’কে বলেন, “জ়েলেনস্কি একটি চিঠি পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট (ডোনাল্ড ট্রাম্প)-কে। ওভাল অফিসের গোটা ঘটনার জন্য তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। আমার মনে হয় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমাদের প্রতিনিধিদল, ইউক্রেন এবং ইউরোপীয়দের মধ্যে অনেকগুলি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।” যদিও কোন চিঠির কথা উইটকফ বলতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়। ট্রাম্প সম্প্রতি যে ‘গুরুত্বপূর্ণ চিঠি’র উল্লেখ করেছেন যৌথ অধিবেশন, সেটি চিঠিটি? নাকি নতুন কোনও চিঠি পৌঁছেছে হোয়াইট হাউসে, তা খোলসা করেননি আমেরিকার ওই কূটনীতিক।
বাগ্বিতণ্ডার পরে ফের আলোচনার টেবিলে বসার জন্য আমেরিকা এবং ইউক্রেন— দুই দেশের প্রতিনিধিরাই সৌদি আরবে পৌঁছে গিয়েছেন। ওই বৈঠক থেকে ইতিবাচক কিছু নির্যাস বেরিয়ে আসবে বলে আশাবাদী উইটকফ। আগামী দিনে জ়েলেনস্কি ফের খনিজ চুক্তি নিয়ে আমেরিকায় আসবেন বলেও আশা তাঁর। এই বিষয়ে বেশ কিছু ইতিবাচক আভাস মিলেছে বলে ‘ফক্স নিউজ়’কে জানিয়েছেন মার্কিন কূটনীতিক।