গত কয়েকদিন ধরে আগুন জ্বলছে সন্দেশখালিতে। রাগে, ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার মহিলারা। দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে তাদের। দিনের পর দিন লাঞ্ছিত তারা। বাধ্য হয়ে লাগাতার বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন তারা। শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার, শিবু হাজরার মতো তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে সন্দেশখালির নারী সমাজ।
অভিযোগ উঠেছে, দিনের পর দিন মহিলাদের উপর অকথ্য নির্যাতন চলছে সেখানে। সংবাদ মাধ্যমের পাতা অথবা পর্দায় সন্দেশখালিতে একের পর নারী নির্যাতনের ঘটনায় সরব রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তবে শুধু বিজেপি নেতা হিসেবেই নয়, দুই কন্যার পিতা হিসেবেও রাজ্যের নারী নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কিত তিনি। নিজের এই আতঙ্ক ও আশঙ্কার কথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
একটি সংবাদ মাধ্যমের দেখানো প্রতিবেদন সুকান্ত মজুমদার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন। সেখানে সন্দেশখালির এক বিক্ষোভকারী মহিলা বিস্ফোরক অভিযোগ করছেন রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে। তিনি বলছেন, পার্টির (তৃণমূল) লোকেরা আগে এসে দেখে যাবে কোন বাড়ির বৌটা সুন্দর, কে কম বয়সী। এরপরই হুমকি আসবে তোমার বাড়ির বৌ তুমি ছেড়ে দাও। স্বামী হলেও স্ত্রীর উপর কোনো অধিকার নেই, নিয়ে চলে যাবে। একদিনের জন্য নয়, রাতের পর রাত। যতক্ষণ না তাদের মন ভরবে তাদের রেহাই নেই।”
এই বিস্ফোরক ভিডিও পোস্ট করে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, আমার নিজের মেয়ে থাকায়, সন্দেশখালিতে নারীদের উপর এই সন্ত্রাস ও সহিংসতায় উদ্বেগজনক প্রতিবেদন, একজন রাজনীতিবিদ এবং একজন বাবা হিসাবে আমার হৃদয় ভেঙে দেয়। শাহজাহান শেখ এবং তার লোকেরা যখন নিরপরাধ মহিলাদের শিকার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নিজের দায়িত্ব অবহেলা করে, এটা একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে লজ্জাজনক কাজ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে রাতে পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মহিলাদের। এমন একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। রাগে গর্জে উঠেছে সন্দেশখালি। এক মহিলা বলেছেন, বাড়ির মেয়েদের কোনো সম্মান দেয় না ওরা। রাত সাড়ে দশটার সময়ও মেয়েদের উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পার্টি অফিসে। এমনকি হিন্দু মহিলাদেরই তুলে নিয়ে যেত শেখ শাহজাহানরা। এহেন একের পর এক গায়ে কাঁটা দেওয়া অভিযোগ উঠে এসেছে সন্দেশখালি থেকে। এই ঘটনায় আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের কাছে। সুকান্ত মজুমদার, অমিত শাহের কাছে সন্দেশখালির ঘটনায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ দাবি করে চিঠি দিয়েছেন।