রাজ্যের দেওয়া ভাতা কি পাবেন চাকরিহারা গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কর্মীরা! শুক্রবার রায় ঘোষণা করবে কলকাতা হাই কোর্ট

গ্রুপ সি কর্মীদের মাসে ২৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার নিয়েছিল, তাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছিল হাই কোর্টে।

এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন)-এর গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের ভাতা দেওয়া নিয়ে রায় ঘোষণা করবে কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার রায় ঘোষণা করবেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ।

এসএসসির চাকরিহারা কর্মীদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। গ্রুপ সি কর্মীদের মাসে ২৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার নিয়েছিল, তাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। গত সপ্তাহে ওই মামলার শুনানি শেষ হয়। রায় ঘোষণা স্থগিত ছিল। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের তরফে জানানো হয়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় রায় ঘোষণা করবেন বিচারপতি সিংহ।

২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলে থাকা প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এই ২৬ হাজার জনের মধ্যে রয়েছেন গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীরাও। গত মে মাসে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে চাকরিহারা গ্রুপ সি কর্মীদের প্রতি মাসে ২৫ হাজার এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ২০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে। সেই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। আইনজীবী গোপা বিশ্বাস জানান, এই সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী। সেই মামলার শুনানিতে ভাতার অঙ্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি সিংহ। তিনি বলেন, “টাকার পরিমাণ ২৫ হাজার এবং ২০ হাজার হল কেন? কিসের ভিত্তিতে এই অঙ্ক নির্ধারণ করলেন?” বিচারপতি সিংহ রাজ্যের উদ্দেশে প্রশ্ন তোলেন যে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে কোনও রকম আলোচনা বা স্ক্রুটিনি ছাড়াই কেন তড়িঘড়ি এই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? পাল্টা মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত। মামলাকারীদের আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, “কে মামলা করবে, তা রাজ্য স্থির করে দিতে পারে না।” সেই মামলার শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতি সিংহ। শুক্রবার সেই রায়ই দেবেন তিনি।

গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আগেও হাই কোর্টে মামলা হয়েছিল। মামলা করেছিলেন অপেক্ষমাণ তালিকা বা ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীরা। সেই শুনানিতে বিচারপতি সিংহই ভাতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কোনও রকম আলোচনা বা স্ক্রুটিনি ছাড়া কেন তড়িঘড়ি এই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? শুধু তা-ই নয়, তাড়াহুড়ো করে কেন ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হল, তা নিয়েও শুনানিতে প্রশ্ন উঠেছিল। মামলাকারীদের দাবি ছিল, রাজ্যের সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ জারি করুক হাই কোর্ট। যদিও সেই মামলাটির রায়ও দেননি বিচারপতি সিংহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.