ঘুমন্ত স্বামীর গায়ে আগুন দিয়ে চম্পট স্ত্রীর, হাসপাতালে মৃত্যু প্রাক্তন সেনাকর্মী স্বামীর

স্বামী-স্ত্রীতে ঘুমোচ্ছিলেন। আচমকাই দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল বিছানা। টেরও পেলেন না স্বামী। ঘুমের ঘোরেই পুড়ে গেল গোটা শরীর। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের আন্নামায়া জেলায়। মৃত ব্যক্তি সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। বছরখানেক আগে সেনার চাকরি থেকে অবসর নিয়ে গ্রামে ফিরে আসেন।

মদনাপাল্লের ডিএসপি কে কেসাপ্পা জানিয়েছেন, শ্রীধর এবং তাঁর স্ত্রী মমতার মধ্যে বনিবনা ছিল না। সমস্যার সূত্রপাত বেশ কয়েক বছর আগে। মমতা তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে থাকতে চাইতেন না। স্বামী শ্রীধর সেনার চাকরি শেষ করে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। সেই থেকে মমতা স্বামীকে বার বার ঘর ছাড়ার কথা বলতে থাকেন। কিন্তু শ্রীধর মা-বাবাকে ছাড়তে রাজি ছিলেন না। এ নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ব্যাপক গোলমাল লেগেই ছিল। নিত্যই চিৎকার-চেঁচামেচি শোনা যেত বলেও দাবি প্রতিবেশীদের। সেই কলহই চরমে পৌঁছয় গত মঙ্গলবার।

পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শ্রীধর। এর পর ২ জনেই রাতের খাবার খেয়ে শুতে যান। স্বামী ঘুমিয়ে পড়েছেন সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর মমতা তাঁর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। তার পর গভীর রাতেই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি।

আগুন যখন গোটা ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে, তখন প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। কোনও রকমে শ্রীধরকে উদ্ধার করে বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাস্তায় মৃত্যু হয় শ্রীধরের। মাদিভেদু থানা ঘটনায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। মমতার খোঁজেও চলছে তল্লাশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.