কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানিকে ফোন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দোহার পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর কাছে গভীর উদ্বেগ ব্যক্ত করেছেন মোদী। কাতারকে ‘ভ্রাতৃসম’ বলে উল্লেখ করে দেশটির সার্বভৌমত্বে আঘাতের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, ভারত সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরোধী।
কাতারের রাজধানী দোহায় প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নেতাদের নিশানা করে বুধবার বিমান হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েল। বেশ কয়েকটি জায়গায় বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। তবে ইজ়রায়েলের সেনাবাহিনী সরাসরি কাতার বা দোহার নাম করেনি। বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, হামাসের নেতাদের লক্ষ্য করে ‘সুনির্দিষ্ট’ হামলা চালানো হয়েছে। এ নিয়ে বুধবারই ভারতের বিদেশ মন্ত্রক উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। এ বার মোদী কথা বললেন কাতারের আমিরের সঙ্গে।
সমাজমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে ফোনে কথা বললাম। দোহায় হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। ভ্রাতৃসম কাতারের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের বিরোধিতা করে ভারত। আমরা অশান্তি এড়িয়ে আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে যে কোনও সমস্যার সমাধানের পক্ষে। এই অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতার পাশে আছে ভারত। আমরা সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করি।’’
উল্লেখ্য, পশ্চিম এশিয়ায় হামাসের বিরুদ্ধে একাধিক দেশে হামলা চালাতে দেখা গিয়েছে ইজ়রায়েলকে। ইরানের পাশাপাশি লেবাননের হিজ়বুল্লা, ইয়েমেনের হুথি, সিরিয়ায় হামলা হয়েছে। কিন্তু কাতারে হামলা তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই দেশটির সঙ্গে ইজ়রায়েলের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলেই জানা যায়। শুধু তা-ই নয়, কাতার ইজ়রায়েল এবং হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসাবেও সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে থাকে। অভিযোগ, বুধবারের হামলার সময়েও কাতারের একটি ভবনে হামাসের মধ্যস্থতাকারী প্রতিনিধি দলের বৈঠক চলছিল। ইজ়রায়েলের মতো কাতার আমেরিকারও ‘বন্ধু’ দেশ হিসাবে পরিচিত। বৃহস্পতিবার সকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, কাতারে হামলা ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানতেন না। তবে দোহায় ইজ়রায়েলি হামলার ‘নিন্দা’ করলেও গাজ়া থেকে হামাসকে ‘নির্মূল’ করার ব্যাপারে তিনি যে বদ্ধপরিকর, তা-ও উল্লেখ করেন ট্রাম্প।