দেখে মনে হয়েছিল, ইংল্যান্ড সফরে সুনীল গাওস্করের রেকর্ড ভেঙে দেবেন শুভমন গিল। কিন্তু অল্পের জন্য পারেননি তিনি। ওভালে দ্বিতীয় ইনিংসে ১১ রানে আউট হয়েছেন শুভমন। ২০ রানের জন্য রক্ষা পেয়েছে গাওস্করের রেকর্ড। ১৯৭১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে ৭৭৪ রান করেছিলেন গাওস্কর। চলতি সিরিজ়ে শুভমন করেছেন ৭৫৪ রান। রেকর্ড ভাঙতে না পারলেও ইংল্যান্ডে শুভমনের পারফরম্যান্সকেই এগিয়ে রাখছেন গাওস্কর। নেপথ্য কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
গাওস্করের মতে, শুভমন অধিনায়কত্বের বাড়তি দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে এই রান করেছেন। সেই দায়িত্ব তাঁর ছিল না। সম্প্রচারকারী চ্যানেলে গাওস্কর বলেন, “কারও রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারবে কি না তা ঈশ্বরের হাতে। কিন্তু একটা কথা বলতে পারি, শুভমনের ৭৫৪ রান কোনও অংশে কম নয়। এমনকি, ওর এই পারফরম্যান্স আমার থেকেও ভাল। কারণ, ওকে অধিনায়কত্বের চাপও সামলাতে হয়েছে।”
গাওস্কর নিজের টেস্ট কেরিয়ারের প্রথম সিরিজ়ে ৭৭৪ রান করেছিলেন। তাঁর মতে, দলের সবচেয়ে নতুন সদস্য হিসাবে তাঁর উপর একেবারেই চাপ ছিল না। খেলা উপভোগ করেছেন তিনি। সম্পূর্ণ উল্টো পরিস্থিতিতে খেলতে হয়েছে শুভমনকে। গাওস্কর বলেন, “আমি তখন দলের সবচেয়ে ছোট বাচ্চা। আমি যদি রান করতে না পারতাম তা হলেও কিছু হত না। কেউ আমাকে কিছু বলত না। কিন্তু শুভমন রান করতে না পারলে ওর সমালোচনা হত। ওর উপর চাপ আরও বাড়ত। এই পরিস্থিতিতে ২০ রানের কোনও গুরুত্ব নেই। দেখতে হবে ওই ৭৫৪ রান দলের কী কাজে লেগেছে।”
সিরিজ়ের শুরুটা দারুণ করেছিলেন শুভমন। হেডিংলেতে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৪৭ রান করেছিলেন তিনি। এজবাস্টনে পরের টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৬৯ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬১ রান করেছিলেন ভারত অধিনায়ক। ওই এক টেস্টেই ৪৩০ রান করেছিলেন তিনি। দেখে মনে হচ্ছিল, সকলকে ছাপিয়ে যাবেন শুভমন। কিন্তু পরের তিন টেস্টে মাত্র একটা শতরান করতে পেরেছেন তিনি। ফলে ৭৫৪ রানে থামতে হয়েছে তাঁকে। ওভালে দ্বিতীয় ইনিংসের পর শুভমনকে একটা পুরস্কারও দিয়েছেন গাওস্কর। পাশাপাশি তাঁকে এগিয়েও রেখেছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার।