ম্যাচের পর দীনেশ কার্তিককে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মহম্মদ সিরাজ জানিয়েছিলেন, সোমবার সকালে উঠে ‘বিলিভ’ লেখা একটি ছবি ওয়ালপেপারে ‘সেভ’ করে রেখেছিলেন। তবে শুধু ‘বিলিভ’ শব্দ নয়, সঙ্গে ছিল একজনের ছবিও। সেটা কার? সাংবাদিক বৈঠকে সিরাজ নিজেই সেটা প্রকাশ্যে এনেছেন। ম্যাচের পর ভারতীয় পেসারের কান্নার ছবি ভাইরাল হয়েছে।
সাংবাদিক বৈঠকে শুভমন গিলের সঙ্গেই এসেছিলেন ম্যাচের সেরা সিরাজ। একেবারে শেষ দিকে কথা বলতে বলতে হঠাৎই ডান পকেট থেকে নিজের ফোন বার করে আনেন। দেখা যায়, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর একটা ছবি। উপরে ‘বিলিভ’ লেখা।
সিরাজ বলেন, “দেখুন, এই ছবিটাই মোবাইলের ওয়ালপেপারে রেখেছিলাম। আসলে বিশ্বাসই ছিল যে আমি পারব। ম্যাচ থাকলে অন্যান্য দিন সকাল ৮টায় উঠি। আজ ভোর ৬টায় উঠে পড়েছিলাম। বিশ্বাস ছিল যে আমি পারব। তাই ঘুম থেকে উঠেই ফোনে গুগ্ল খুলেছিলাম। তার পর এই ছবিটা বেছে নিয়ে ওয়ালপেপার করে রাখলাম। নিজের উপর বিশ্বাস রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
রোনাল্ডোর বড় সমর্থক সিরাজ। উইকেট নেওয়ার পর রোনাল্ডোর ধাঁচে ‘সি-ই-ই-উ’ সেলিব্রেশন প্রায়ই করে থাকেন। সোমবারও তা দেখা গিয়েছে। তাই নিজেকে তাতিয়ে দেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছিলেন প্রিয় তারকার ছবিই। শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছেন সিরাজ।
অথচ সেই সিরাজ ম্যাচের পর নিজের আবেগ ঠিক করে প্রকাশই করতে পারেননি। বললেন, “আসলে ডিকে ভাই (দীনেশ কার্তিক) সঙ্গে সঙ্গে এসে ইংরেজিতে প্রশ্ন করা শুরু করল। সেই মুহূর্তে সব আবেগ উড়ে গিয়েছিল।” হায়দরাবাদি হিন্দিতে সিরাজের এই কথা শুনে গোটা ঘরে হাসির রোল। তবে একটা ভিডিয়োয় সিরাজের চোখের জল দেখা গিয়েছে, যা ভাইরাল হয়েছে।
শরীর ঠিক রাখার কারণে জসপ্রীত বুমরাহ মাত্র তিনটে টেস্ট খেলেছিলেন। অথচ সিরাজ খেলেছেন গোটা সিরিজ়ই। ১৮৫.৩ ওভার বল করে ২৩টা উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়েছেন। এই চাপ আইপিএলে ৪৭টা ম্যাচ খেলার সমান। তবে সিরাজের তাতে ভ্রূক্ষেপ নেই। বললেন, “শরীর ঠিকঠাক রয়েছে। ছ’ওভার বল করছি না ন’ওভার সে সব মাথাতেই রাখি না। আমি তো নিজের জন্য বল করি না, দেশের জন্য বল করি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি সব সময় বিশ্বাস করি, যে কোনও জায়গা থেকে ম্যাচ জেতাতে পারি। আজকের সকালটাও আলাদা ছিল না। আমার লক্ষ্য ছিল সঠিক জায়গায় বল করা। তাতে রান হোক আর উইকেটই আসুক।”