এশিয়া কাপ জিতলেও মহসিন নকভির থেকে ট্রফি নিতে রাজি হয়নি ভারত। তিনি এসিসি-র চেয়ারম্যান হওয়া ছাড়া পাকিস্তানের মন্ত্রী এবং সে দেশের বোর্ডপ্রধান হওয়ায় ট্রফি নিতে অস্বীকার করেছিল ভারত। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, নকভি সেই ট্রফি নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। পরে জানা গিয়েছিল, ট্রফি রয়েছে দুবাইয়েই।
ভারত রাজি না হওয়ায় নকভি ট্রফি নিয়ে চলে গিয়েছিলেন। সেই ট্রফি তিনি নিজের কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। নকভি দেশে ফিরে এলেও ট্রফি নিয়ে আসেননি। সেটি রয়েছে দুবাইয়ে এসিসি-র দফতরে। তবে ভারতের পক্ষে এখনই সেই ট্রফি পাওয়া সম্ভব নয়।
নকভির এক ঘনিষ্ঠ সূত্র সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “এখনও পর্যন্ত ট্রফি রয়েছে দুবাইয়েই। তবে নকভি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন যে, তাঁর অনুমতি এবং উপস্থিতি ছাড়া সেই ট্রফি কোথাও সরানো যাবে না বা কারও হাতে দেওয়া যাবে না।”
ওই সূত্র আরও বলেছেন, “নকভি পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, শুধু তিনিই ভারতীয় দল বা বিসিসিআইয়ের হাতে সামনে থেকে ট্রফি তুলে দেবেন। আর কেউ সেই কাজ করবেন না।”
সীমিত ওভার ছেড়ে আবার লাল বলের ক্রিকেটে নামছে পাকিস্তান। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ় রয়েছে তাদের। তার আগে লাহোরে গোটা দলের সঙ্গে দেখা করেছেন নকভি। সঙ্গে ছিলেন হাই পারফরম্যান্স সেন্টারের ডিরেক্টর আাকিব জাভেদ। খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে কথা বলেন নকভি। অধিনায়ক শান মাসুদকে জিজ্ঞাসা করেন, প্রস্তুতি কেমন চলছে। বিভিন্ন অনুপ্রেরণামূলক কথা বলে দলকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করেন নকভি। স্বাগত জানান আবরার আহমেদকেও, যিনি কয়েক দিন আগেই বিয়ে করেছেন। নকভি নিজেও সেই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন।
এশিয়া কাপ চলার মাঝেই নকভি দেখা করেছিলেন মাসুদের সঙ্গে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ়ের প্রস্তুতির জন্য সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। বুঝিয়েছিলেন এই সিরিজ়ের গুরুত্ব। পাকিস্তানের পর দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সঙ্গেও দেখা করেন নকভি।
২০২১-এর জানুয়ারির পর এই প্রথম টেস্ট খেলতে পাকিস্তানে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সে বার তারা ০-২ ব্যবধানে সিরিজ় হেরেছিল। এ বার তারা খেলতে এসেছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দল হিসাবে। টেস্টের পর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ় খেলা হবে। তার পর হবে এক দিনের সিরিজ়। এর পর দক্ষিণ আফ্রিকা আসবে ভারতে। এ দেশেও তিন ফরম্যাটেই সিরিজ় খেলবে তারা।