ভোরের দিকে রাজ্যে এখন আবহাওয়া মনোরম। বেলা গড়াতেই গরম। রাজ্যবাসীর মনে প্রশ্ন, কবে মিলবে শীতের আমেজ? সেই নিয়ে যদিও সুখবর দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। জানিয়েছে, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে রাজ্যের সব জেলায় মিলবে শীতের আমেজ। সেই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে আবার নিম্নচাপ তৈরির পূর্বাভাসও দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে তার প্রভাব রাজ্যে পড়বে না বলেই মনে করছে হাওয়া অফিস।
নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে রাজ্যে আবহাওয়া পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে হাওয়া অফিস। সে সময় উত্তুরে হাওয়া প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হবে। সেই সঙ্গেই নামতে পারে পারদ। রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে বাকি জেলার তুলনায় তাপমাত্রা বেশি কমতে পারে। অন্য দিকে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর যে ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে, তা শনিবারের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এর প্রভাব পড়তে পারে তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে। নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে। বাংলায় সরাসরি এর কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছে হাওয়া অফিস।
শনিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক। সকালের দিকে হালকা কুয়াশা বা ধোঁয়াশা থাকতে পারে। বেলা বাড়লে কোথাও আংশিক মেঘলা আকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দক্ষিণের কোনও জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। রবিবার জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমীর দিন এবং সোমবার হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলের জেলাগুলিতে। পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার দু’-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতায় আকাশ থাকবে পরিষ্কার। সকালের দিকে হালকা কুয়াশা এবং ধোঁয়াশা থাকতে পারে। আগামী চার-পাঁচ দিন নতুন করে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই।
উত্তরবঙ্গে আপাতত শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে বলে পূর্বাভাস। দার্জিলিং, কালিম্পঙের পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার থেকে এই দুই জেলায় হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।