এজবাস্টনে শুভমন গিলের দ্বিশতরান দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিল বৈভব সূর্যবংশী। জানিয়েছিল, পরের এক দিনের ম্যাচে ২০০ করতে চায় সে। সেই স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল বৈভবের। ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিরুদ্ধে পঞ্চম তথা শেষ এক দিনের ম্যাচে ৩৩ রানে আউট হয়ে গেল বৈভব। তবে নজিরও গড়েছে ১৪ বছরের ক্রিকেটার। ভারত সিরিজ় জিতেছে ৩-২ ব্যবধানে।
গত রবিবার ভারতীয় বোর্ডের পোস্ট করা একটি ভিডিয়োয় বৈভব বলেছিল, “শুভমনের থেকে অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছি। কারণ চোখের সামনে ওর খেলা দেখেছি। ১০০ এবং ২০০ করার পরেও ও হাল ছাড়েনি। নিজের ইনিংস আরও এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।”
বৈভব আরও বলেছিল, “আমি চেষ্টা করব পরের ম্যাচে ২০০ করতে। পুরো ৫০ ওভার খেলার চেষ্টা করব। আমি যত বেশি রান করব ততই দলের ভাল হবে। কী ভাবে পুরো ম্যাচ খেলা যায় সেটার উপর আরও মনোযোগ দিতে হবে।”
সোমবার উরস্টারে ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ম্যাচ। ওপেন করতে নেমে ৪২ বলে ৩৩ রান করে বৈভব। অন্যান্য ম্যাচে যে রকম আগ্রাসী খেলে বৈভব, সে রকম খেলেনি। বরং বেশ ধীরস্থির, শান্ত দেখিয়েছে তাঁকে। অতীতে ২০০-র বেশি স্ট্রাইক রেটে শতরান করেছিল বৈভব। এ দিন তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১০০-র কম। তিনটে চার এবং দুটো ছয় মারে বৈভব। ১৫তম ওভারে সেবান্তিয়ান মর্গ্যানের বলে অ্যালেক্স গ্রিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যায়।
গোটা সিরিজ়ে অবশ্য ভাল খেলেছে বৈভব। সে-ই সিরিজ়ের সর্বোচ্চ রানশিকারী। পাঁচ ম্যাচে ৩৫৫ রান করেছে বৈভব। মেরেছে ২৯টা ছয় এবং ৩০টা চার। আর কোনও ব্যাটার ৩০০-ও পেরোতে পারেননি। বাকিদের থেকে প্রায় পাঁচ বছরের ছোট হওয়ার পরও কীর্তি গড়েছে বৈভব। তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১৭৪.০২। এই সিরিজ়ে মোট চার জন ব্যাটার শতরান করেছেন। বৈভবের স্কোর (১৪৩) সবার চেয়ে বেশি। ৫২ বলে শতরান করেছিল সে। যুবদের এক দিনের ক্রিকেটে যা দ্রুততম।