অপারেশন সিঁদুর’ পরবর্তী পর্যায়ে নতুন করে অস্ত্র আমদানির জন্য তৎপরতা শুরু করল কেন্দ্র। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বাধীন ‘প্রতিরক্ষা সামগ্রী ক্রয় বিষয়ক কমিটি’র (ডিএসি) বৈঠকে ইতিমধ্যেই সেনার জন্য ১ লক্ষ ৩ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহান বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন।
সিঙ্গাপুর সফরে গিয়ে জেনারেল চৌহান জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে, ‘ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র’, সাঁজোয়া গাড়ি (আর্মার্ড রিকভারি ভেহিকল্) এবং অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিন যুদ্ধব্যবস্থা (ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার) উপকরণ। এ ছাড়া নৌসেনার জন্য আকাশহানা প্রতিরোধী ‘সুপার র্যাপিড গান’, মাইন চিহ্নিতকারী জাহাজ এবং উচ্চ গতিসম্পন্ন ‘সাব-মার্সিবল অটোনোমাস ভেসেল’ রয়েছে এই তালিকায়।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ স্লোগান সফল করতে গিয়ে গত কয়েক বছরে দফায় দফায় অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম আমদানিতে কাটছাঁট করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তুলনায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের স্বদেশি উৎপাদনে। কিন্তু ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরবর্তী পরিস্থিতিতে একাধিক যুদ্ধক্ষেত্রে যুগপৎ হামলা প্রতিরোধে প্রস্তুত থাকার তৎপরতা শুরু করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই উদ্দেশ্যে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার সমন্বয় বাড়াতে ‘থিয়েটারাইজ়েশন’ প্রক্রিয়ার কাজও চলছে।