‘আপনার মেয়ে কন্যাশ্রী পায় তো’? আপনার স্ত্রী লক্ষ্মীর ভান্ডার পায় তো’? পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের হাতে লিফলেট তুলে দেবে তৃণমূল! দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানালেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য আমরাও বেশি কিছু জায়গায় লিফলেট ছাপিয়ে রেখেছি। হিন্দিতে আছে, ইংরেজিতে আছে।
কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘেরাটোপেই পঞ্চায়েত ভোট রাজ্যে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয়, কোন জেলায় কত সিআরপিএফ, বিএসএফ ও সিআইএসএফ মোতায়েন করা হবে, কমিশনকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়েও দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ১১ জেলায় CRPF, ৬ জেলায় CISF ও ৯ জেলায় BSF-কে পাঠানো হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি বাহিনী মোতায়েন থাকবে মুর্শিদাবাদে।
এদিকে পঞ্চায়েত ভোটে ‘নীতিগত’ কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে আপত্তি রয়েছে তৃণমূলের। কেন? নিয়ম অনুযায়ী, লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। কিন্তু পঞ্চায়েত বা পুরসভার স্থানীয় ভোটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে রাজ্য পুলিসই।
এদিন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য আমরাও বেশি কিছু জায়গায় লিফলেট ছাপিয়ে রেখেছি। কেন্দ্রীয় বাহিনী গেলে, আমরাও সেই বাহিনীকে লিফলেট দিয়ে দেব। হিন্দিতে আছে, ইংরেজিতে আছে’।
কী লেখা থাকবে সেই লিফলেটে? কুণাল জানান, ‘আপনি যে এসেছেন, আপনার রাজ্যে আপনার বাড়িতে আপনার মেয়ে কন্যাশ্রী পায় তো? আপনার স্ত্রীকে লক্ষ্মীর ভান্ডার পান তো? আপনার মেয়ে পড়াশোনার জন্য ১৮ বছরে টাকা পায় তো? আপনার মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা পান তো রূপশ্রীতে? আপনার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে তো, ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা, বাংলায় পায়। এমনভাবে আচরণ করুন। আপনি আবার ফিরে গিয়ে বলবেন, এইরকম সরকার আপনার রাজ্য়েও চাই’।
এর আগে, স্রেফ নির্বাচন কমিশন নয়, পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টের মামলা করেছিল রাজ্য সরকারও। নবান্নের বক্তব্য় ছিল, ‘রাজ্যে পর্যাপ্ত পুলিস ও যথেষ্ট পরিকাঠামো নেই, তা কীভাবে জানল আদালত। রাজ্যকে অবস্থান জানানোর সুযোগ দেওয়া হয়নি’।