জীবন বাঁচানোর লক্ষ্যে অসহায় মানুষরা জীবনের ঝুঁকি নিতে পিছ পা হন না। শুক্রবার পশ্চিম দিল্লির মুন্ডকাতে সেরকই একাধিক দৃশ্য দেখা গিয়েছে অগ্নিকাণ্ডের সময়। বিল্ডিংটি যখন ধীরে ধীরে একটি বিশাল অগ্নিকুণ্ডে পরিণত হচ্ছিল, তখন বিল্ডিংয়ের ভিতরে আটকে পড়া লোকজনকে জানালা থেকে লাফ দিতে দেখা গিয়েছে। জীবন বাঁচাতে ক্রেন থেকে ঝুলে থেকে নিচে নামতেও দেখা গিয়েছে। দিল্লির মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি তিনতলা বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে। আর তাতে কমপক্ষে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সূত্রের খবর, মেট্রো স্টেশনের ৫৪৪ নম্বর পিলারের কাছে প্রথম আগুন দেখা যায়। প্রথমে ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে আরও ২৪টি ইঞ্জিন পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। আগুনের গ্রাসে চলে যাওয়া বিল্ডিংটিতে মূলত বিভিন্ন সংস্থার অফিস ছিল। সেই অফিসের কর্মীদের অনেকেই অগ্নিকাণ্ডের জেরে আটকে পড়েন। ফায়ার ব্রিগেড আধিকারিকদের মতে, তারা বিকেল ৪টে ৪৫ মিনিট নাগাদ আগুনের খবর পেয়েছিলেন। এর পরে ৩০ টিরও বেশি দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। আগুনের কারণে ভবনটি সম্পূর্ণ রূপে ভস্মীভূত হয়েছে।
এই আবহে জীবন বাঁচাতে মানুষকে মরিয়া চেষ্টা করতে দেখা যায়। কাউকে জানলার কাচ ভেঙে নিচে লাফাতে দেখা যায়। কেউ দমকলের ক্রেন ধরে ঝুলে পড়েন। পুলিশ জানিয়েছে, বিল্ডিং থেকে ৫০ জনেরও বেশি লোককে সুরক্ষিত ভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে আরও কিছু লোক গভীর রাত পর্যন্ত ভবনের ভিতরে আটকে ছিলেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ফায়ার ব্রিগেড এবং পুলিশের পাশাপাশি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও সেখানে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে নিয়োজিত ছিল। আহতদের সবাইকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা এখন চিকিৎসাধীন রয়েছে। একই সঙ্গে এই ভবনের মালিক হরিশ গোয়েল ও বরুণ গোয়েলকে হেফাজতে নিয়েছে দিল্লি পুলিশ।