আবার ব্যর্থ বিরাট, ঘরের মাঠে ফিরতেই হার বেঙ্গালুরুর, চিন্নাস্বামীতে দাপট সিরাজের

ঘরের মাঠই হারে ফেরাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। আগের দু’টি ম্যাচ জিতে আইপিএলের লিগ তালিকায় শীর্ষে ছিল তারা। কিন্তু সেই দলকেই ঘরের মাঠে হারতে হল গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে। প্রথমে ব্যাট করে ১৬৯ রান করেছিল বেঙ্গালুরু। ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় গুজরাত।

বেঙ্গালুরু ফর্মে ফেরাল জস বাটলারকে (৭৩ রানে অপরাজিত)। ম্যাচের শুরুতে সহজ ক্যাচ ফেলেছিলেন তিনি। স্টাম্প করার সুযোগও হারিয়েছিলেন। তবে ব্যাট হাতে দলকে ভরসা দিলেন। শেষ পর্যন্ত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক। রান তাড়া করতে নেমে শুভমন গিল (১৪) এবং সাই সুদর্শন (৪৯) শুরুটা করেছিলেন মন্থর গতিতে। এর মাঝেই শুভমনকে আউট করেন ভুবনেশ্বর কুমার। বাটলারের সঙ্গে জুটি গড়েন সুদর্শন। তাঁরা ৭৫ রানের জুটি গড়েন। ওই জুটিটাই গুজরাতের জয় নিশ্চিত করে দেয়। সুদর্শন যদিও শেষ পর্যন্ত থাকতে পারেননি। তিনি আউট হতে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামেন শেরফানে রাদারফোর্ড (৩০ রানে অপরাজিত)। বাটলার এবং তিনি মিলে ম্যাচ শেষ করেন।

টস জিতে বেঙ্গালুরুকে ব্যাট করতে পাঠান গুজরাতের অধিনায়ক শুভমন গিল। তাঁর সিদ্ধান্ত যে খুব ভুল ছিল না, তা প্রমাণ করে দেন সিরাজেরা। শুরুতেই বিরাট কোহলির (৭) উইকেট তুলে নেন তরুণ বাঁহাতি পেসার আরশাদ খান। এর পর একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে বেঙ্গালুরু। ৪২ রানের মধ্যে চলে যায় ৪ উইকেট। ফিল সল্ট (১৪), দেবদত্ত পাড়িক্কল (৪) এবং রজত পাটীদার (১২) অল্প রানে ফিরে যান।

গুজরাতের তিন পেসার নিজেদের প্রথম স্পেলেই উইকেট তুলে নেন। আরশাদ, সিরাজ এবং ইশান্ত শর্মার দাপটে তখন চিন্নাস্বামী শান্ত। পর পর দু’ম্যাচ জিতে ঘরের মাঠে খেলতে আসা বেঙ্গালুরু ঘরের মাঠে শুরুতেই এমন ধাক্কা খাবে, তা সমর্থকেরা ভাবতে পারেনি। যদিও টসের সময় অধিনায়ক পাটীদার বলেন, “ঘরের মাঠে এটা আমাদের প্রথম ম্যাচ। ফলে এই পিচ আমাদের কাছেও অপরিচিত। টস জিতলে আমিও আগে বল করতাম।”

সিরাজ প্রথম থেকেই ব্যাটারদের ভোগাচ্ছিলেন। যে কারণে তাঁকে শুরুতেই তিন ওভার করিয়ে দেন অধিনায়ক শুভমন। মাঝের দিকে তাঁকে আর বল দিতে পারেননি। আরশাদ শুরুতে ২ ওভারে ১৭ রান দিয়ে বিরাটের উইকেট তুললেও তাঁকেও আর বল দেননি শুভমন। অধিনায়ক ভরসা দেখান রশিদ খানের উপর। কিন্তু তিনি ৪ ওভারে দিলেন ৫৪ রান। নেপথ্যে লিয়াম লিভিংস্টোন।

বেঙ্গালুরুকে লড়াই করার মতো রান তুলতে সাহায্য করেন লিভিংস্টোন। তিনি ৪০ বলে ৫৪ রান করেন। তাঁর মারা পাঁচটি ছক্কা চিন্নাস্বামীতে উৎসব ফিরিয়ে আনে। লিভিংস্টোনের সঙ্গী হন জিতেশ শর্মা (৩৩) এবং টিম ডেভিড (৩২)। এই তিন জনের ব্যাটে ভর করে ১৬৯ রান তোলে বেঙ্গালুরু।

ডেথ ওভারে বল করতে এসে লিভিংস্টোনকে ফেরান সেই সিরাজ। তিনটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। দু’টি উইকেট নেন সাই কিশোর। একটি করে উইকেট আরশাদ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ এবং ইশান্তের। একমাত্র রশিদ কোনও উইকেট নিতে পারেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.