সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, তারা কুমিল্লার ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছে। ইকবাল হোসেন নামক ৩৫ বছরের যুবক গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লার একটি দুর্গাপুজো মণ্ডপে গিয়ে কোরআন রেখে এসেছিল। পরে এই ঘটনা ঘিরেই সহিংসতার সূত্রপাত হয়েছিল বাংলাদেশ জুড়ে। কুমিল্লাতেও মৃত্যু হয় পাঁচ জনের। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, কুমিল্লার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪১ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে চারজন হোসেনের সহযোগী। দুই সহযোগীর নাম ফয়েজ ও একরাম হোসেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে শেখ হাসিনা সরকার এই পরিকল্পিত সহিংসতার পিছনে ষড়যন্ত্র বের করার চেষ্টা করছে। এই সংক্রান্ত যাবতীয় প্রমাণ একত্রিত করা হচ্ছে। এই ঘটনার নেপথ্যে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের জড়িত থাকার সম্ভাবনা প্রবল। ইসলামপন্থী এই সংগঠন তালিবান সমর্থক বলে জানা গিয়েছে। তারা সাম্প্রদায়িক সহিংসতার এই গোটা ঘটনার পিছনে থাকতে পারে। এই হিংসার উদ্দেশ্য শুধু শেখ হাসিনা সরকারকে বিব্রত করাই নয়। বরং দুই প্রতিবেশীর মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর চাপ সৃষ্টি করাও লক্ষ্য ছিল।
জানা গিয়েছে, মণ্ডপ থেকে উদ্ধার হওয়া কোরআনটি বাংলাদেশে ছাপা হয়নি। সেটি সৌদি আরবের। উল্লেখ্য, ধৃত ফয়েজ দীর্ঘদিন সৌদি আরবে থাকার পর বাংলাদেশে ফেরে। বর্তমানে কুমিল্লায় একটি শপিং মলে মোবাইলের দোকান আছে তার।
এদিকে অনেকেরই অভিযোগ, ৫ দিন ধরে নাগাড়ে দেশজুড়ে হিংসা চললেও কোথাও বাধা দিতে দেখা যায়নি হাসিনা সরকারের পুলিশকে। হিংসা থামার পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তাতে মোট ৪৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে হাসিনা প্রশাসন। সঙ্গে সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই ঘটনায় মূলচক্রীদের চিহ্নিত করা হয়েছে।