বিল ঝুলিয়ে রাখতে পারবেন না রাজ্যপাল, সিদ্ধান্ত প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের

বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল নিয়ে রাজ্যপালের যদি অসম্মতি থাকে, তা হলে তিনি বিলটি ঝুলিয়ে রাখতে পারবেন না। অবিলম্বে পুনর্বিবেচনার জন্য বিলটি তাঁকে বিধানসভায় ফেরত পাঠাতে হবে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের এই সিদ্ধান্ত সু্প্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে তোলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ছিলেন বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।

সংবিধানের ২০০ নম্বর অনুচ্ছেদে এই বিষয়টি নিয়ে কিঞ্চিৎ ধোঁয়াশা ছিল। বিচারপতিরা সেটাই কাটিয়ে দিয়েছেন। সংবিধানে বলা ছিল, কোনও বিল এলে রাজ্যপালের সামনে তিনটি রাস্তা খোলা আছে। তিনি বিলে সম্মতি প্রকাশ করতে পারেন, অসম্মতি প্রকাশ করতে পারেন অথবা বিলটি রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য রেখে দিতে পারেন। অসম্মতি প্রকাশের ক্ষেত্রে তিনি বিলের যে অংশগুলি পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন মনে করছেন, সেগুলি উল্লেখ করে বিলটি বিধানসভায় ফেরত পাঠাতে পারেন। বিধানসভা বিলটি পরিবর্তন করে বা না করে ফের রাজ্যপালের কাছে পাঠালে তিনি সই করে দিতে বাধ্য থাকবেন। কিন্তু অসম্মতি থাকলে রাজ্যপাল বিলটি বিধানসভায় ফেরত পাঠাতে বাধ্য কি না, সেটা এখানে স্পষ্ট ছিল না। সম্প্রতি তামিলনাড়ু সরকার বনাম তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের সংঘাতে এই প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল।

গত ১০ নভেম্বর পঞ্জাব সরকার বনাম পঞ্জাবের রাজ্যপালের মামলায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায় যে, রাজ্যপাল বিলে অসম্মত হতেই পারেন, কিন্তু বিলটি তিনি অসম্মতি প্রকাশ করে বা সম্মতি প্রকাশ স্থগিত রেখে আটকে রাখতে পারবেন না। অবিলম্বে বিলটি ফেরত পাঠাতে হবে। আজ ওই রায় সু্প্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। বিচারপতিরা স্পষ্ট বলেছেন, রাজ্যপাল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন। সুতরাং নির্বাচিত সরকারের আইন প্রণয়নের কাজকে ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে তিনি সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন না। সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রকৃত ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের হাতেই থাকবে। সংবাদ সংস্থা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.